মলয় দে নদীয়া:- নৃত্য হচ্ছে মানুষের মনোজাগতিক প্রকাশভঙ্গি। কেননা নৃত্য ও এর ভাষা কাজ করে একসূত্রে। কলা তথ্য থেকে রসতত্ত্ব ও সৃষ্টিতত্ত্বর নান্দনিক আঙ্গিক প্রকাশ মাধ্যমের ভাবনাতত্বক উপস্থাপনা হল ব্যালে নৃত্যের স্রষ্টা জ্যঁ জস নুভেরের জন্মদিনে দিবসটি উদযাপিত হয়ে আসছে।
শিল্পীকে চিরস্মরণীয় করে রাখার জন্য ১৯৮২ সালে ইউনেস্কো ২৯ এপ্রিলকে আন্তর্জাতিক নৃত্যদিবস নির্ধারণ করে। সুর ও ছন্দের সঙ্গে হস্তমুদ্রা, পদসঞ্চালন ও অঙ্গভঙ্গিমা দ্বারা মনের ভাব প্রকাশকেই নৃত্য বলে। যুগে যুগে কালে কালে নৃত্যের আবির্ভাব হয়েছে প্রাকবৈদিক যুগে ও বৈদিক যুগে নৃত্যের প্রচলন ছিল। তা নৃত্যরত ও নৃত্যরতা মূর্তি থেকে সুস্পষ্ট।চর্যাপদে প্রাচীন বাংলার বাদ্যযন্ত্র, একতারা, বীণা, ডমরু, ডমরুলি, বাঁশি, মাদল পটহের কথা স্থান পেয়েছে।আধুনিককালে ১৮০০ শতাব্দী থেকে বাইজি ও অল্পকিছু দরবারি নৃত্য প্রথা ভেদ করে জনসাধারণের হৃদয়ে নিজের আসন প্রতিষ্ঠিত করে নিল। আমরা একে একে পেলাম ঈশ্বর প্রসাদজি, ভানুজি, গিরিধারিজি, বৃন্দাদীন, কালকা প্রসাদ প্রমুখ দিকপাল নৃত্যশিল্পীদের। এর পর যারা আরও পরিশীলিত ও উন্নততর করে নৃত্যের ইতিহাসে নিজেদের আসন প্রতিষ্ঠিত করেন- তাদের মধ্যে উদয় শংকর, শম্ভু মহারাজ, রুশ্বিনী দেবী, বিরজু মহারাজ, অচ্ছন মহারাজ, গোপীকিষান, সীতারা দেবী, গুরু আমুবী সিংহ, গুরু বিপিন সিংহ, গুরু পাকা সিংহ, কেলুচরণ মহাপাত্র, সংযুত্তা পানিগ্রাহী প্রমুখের নাম উল্লেখযোগ্য।
গত দু’বছর করোনা পরিস্থিতিতে, স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল সাধারন জনজীবন। ধীরে ধীরে তার থেকে বেরিয়ে এসে আবারো একটু একটু করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসছে মানুষ। ঠিক এইরকম সময়েই আরো বেশি তাৎপর্যপূর্ণ হয়েছে নৃত্য। উদ্যমহীন স্বার্থপরতা অবসাদ থেকে চেতনা বৃদ্ধির অন্যতম উপায় নৃত্য। সারা পৃথিবী দেশ রাজ্য জেলার মতোই নদীয়ার শান্তিপুরে এই দিনটি পালন করতে দেখা গেলো। উপাসনা নৃত্য বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রী শিক্ষক-শিক্ষিকারা একটি প্রভাতফেরির মাধ্যমে তা উদযাপিত করেন।