নিউজ সোশ্যাল বার্তা : জন্মদিন মানে বাড়ীতে কেক কাটা,খাওয়া দাওয়ার বিশেষ আয়োজন।আত্মীয়-স্বজন,বন্ধু-বান্ধবদের সাথে আড্ডা আর এখানে ওখানে ঘোরা। কিন্তু এই চিরাচরিত সংস্কৃতির বাইরে গিয়ে নিজের জন্মদিন পালন করলেন একটু অন্যরকম ভাবে কৃষ্ণনগর রায়পাড়া’র বাসিন্দা মণিকা হালদার।
আজ ছিল তাঁর ৩০তম জন্মদিন ছিল । তাই এই বিশেষ দিনটিকে সমাজের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সাথে শেয়ার করার ইচ্ছে প্রকাশ করেন কৃষ্ণনগর আনন্দধারা নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কাছে। আনন্দধারা’র উদ্যোগে আজ তাঁর ৩০ তম জন্মদিনে স্বামী ও দুই কন্যাকে সঙ্গে নিয়ে, কেক,চকোলেট, বিরিয়ানির প্যাকেট নিয়ে সোজা রওনা দেন সমাজের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের কাছে রায়পাড়া মালিপাড়া হরিজন পল্লীতে । এখানকার বাসিন্দা সমাজকর্মী ছবি চ্যাটার্জি মিত্র যিনি এলাকায় মনি মা বলে পরিচিত তার বাড়িতেই জমায়েত করা হয় সমস্ত বাচ্চাদের ।
সেখানে গিয়ে বেশ কিছু সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সাথে ভাগাভাগি করে নেন জন্মদিনের আনন্দ।সেখানে কেক কেটে নিজের হাতে তাদের মুখে তুলে দেন। শিশুদের তুলে নেন কোলে। তাদের মধ্যে বিতরণ করেন চকলেট। অবশেষে সবাইকে বসিয়ে বিরিয়ানি খাওয়ান।একসঙ্গে অনেক শিশু হাসিমুখে মণিকাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানায়।
শিশুদের সঙ্গে নজিরবিহীন ভাবে নিজের জন্মদিন পালন সম্পর্কে মণিকা বলেন,সমাজে সবচেয়ে অসহায় হলো এরা।একদিকে পথশিশু,অপরদিকে বৃদ্ধাশ্রমে থাকা প্রবীণ ব্যাক্তিরা। তাই আমার মনে হলো আমার জন্মদিনটা এদের সঙ্গে কাটাবো।এদের জীবন যন্ত্রণা আমাকে পীড়া দেয়। তাই আমি এই সিদ্ধান্ত নিলাম।ওরাও অনেক খুশি হলো,ওদের কাছ থেকে পেলাম বুক ভরা ভালোবাসা ,আমি আপ্লুত। যেটা আমার কাছে অনেক বড় পাওনা।
কৃষ্ণনগর আনন্দধারার কর্ণধার শ্রী রাজু পাত্র বলেন,সমাজের যাঁরা বিত্তশালী ব্যাক্তি তাঁরা যদি এরকম ভাবে এই অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ায় তাহলে একটা সুন্দর পৃথিবীর স্বপ্ন দেখতে পারবে।