নদীয়ায় গুড ফ্রাইডের সাথে এই পুজোর অদ্ভুত একটা মিল রয়েছে

Social

মলয় দে নদীয়া:- নদীয়ার শান্তিপুরে বহু প্রাচীন নৃত্য কালী পূজা হয়ে আসছে ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের বেজপাড়া এলাকায়। বর্তমান প্রবীণরা , প্রায় প্রায় পাঁচ পুরুষের মুখ থেকে শুনে আসছেন, গুড ফ্রাইডের সাথে এই পুজোর অদ্ভুত একটা মিল আছে। সে আমলে অনেকেই লম্বা ছুটি পেতেন গুড ফ্রাইডেতে। পুজোর পাশাপাশি পাড়ার ছেলেরাই অভিনয় করে যাত্রাপালা মঞ্চস্থ করতেন সেই রীতি আজও বর্তমান। তবে গত দু’বছর করো না পরিস্থিতির কারণে তা বন্ধ ছিলো।

সৌরভ চ্যাটার্জী জানান, যাত্রাপালা এখন খুব বেশী দেখা না গেলেও তারা পাড়ার ঐতিহ্য পরম্পরা ধরে রেখেছে আজও। এবারেও গুড ফ্রাইডে অর্থাৎ শুক্রবার অনুযায়ী পহেলা বৈশাখের দিন “ঠাকুর জামাই এলো বাড়িতে” যাত্রাপালা অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। বাজনা সহযোগী লাইট এবং মহিলা চরিত্র ভাড়া করা হলেও পাড়ারই ১৩ জন যুবক তাদের কাজের ফাঁকে ফাঁকে অনুশীলন করেছে এই যাত্রাপালা মঞ্চস্থ হতে চলেছে আগামী ১৪ ই এপ্রিল তারিখ শুক্রবার।

এবছরের পুজো কমিটির সম্পাদক সুব্রত চক্রবর্তী জানান, রক্ষাকালী নয় শ্যামা রূপের এই কালীমাতা মান গোবিন্দ গোস্বামী এবং পন্ডিত লক্ষীকান্ত মৈত্রের পিতা রজনীকান্ত মৈত্র এই পূজার প্রচলন করেন বলে জানা আছে। আগে একদিন পুজো হলেও বর্তমানে তা পাঁচ দিন ধরে পূজিত হন। পূর্বে একটি টিনের চালায় পূজিত হতেন মা কালী। একবার প্রচণ্ড ঝড়ে চালা উড়ে যাওয়ার পর থেকে, বর্তমান স্থানে পুজো শুরু হয় , তবে বছর দশেক আগে মন্দির নির্মাণ হয় নৃত‍্যকালীর।

এলাকা সূত্রে জানা যায় অত্যন্ত নিষ্ঠার ভরে আজও ঐতিহ্য বজায় রেখে কাঠের জ্বালানি তে মায়ের খিচুড়ি পায়েস তরকারি ভোগ রন্ধন হয় এবং সমস্তটাই মায়ের সামনে নিবেদন করার পর তবেই প্রসাদরূপে বিতরণ করা হয়। তবে বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো আমাবস্যা নয় মা পূজিত হন পূর্ণিমা তিথি অনুযায়ী। পূজো উপলক্ষে সমস্ত এলাকা আলোকসজ্জার মাধ্যমে সুসজ্জিত করা হয়। মায়ের নামকরণে নিজস্ব খালে বিসর্জন দেওয়া হয়। তবে প্রতি পূর্ণিমাতেই পাট পুজো হয়‌।

Leave a Reply