বিধ্বংসী অগ্নিকান্ডে পুড়ে ছাই প্রায় ২৫টি ফলের দোকান

Social

দেবু সিংহ,মালদা:  বিধ্বংসী অগ্নিকান্ডে পুড়ে ছারখার হয়ে গেল প্রায় ২৫টি ফলের দোকান। ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা বলে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা দাবি করে জানিয়েছেন । বুধবার ভোররাতে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটেছে কালিয়াচক থানার চৌরঙ্গী এলাকার ফল বাজারে। সংশ্লিষ্ট এলাকার ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের এক পাশে রয়েছে কালিয়াচক ফল বাজার।  আর সেখানে এদিন কাকভোরে আচমকাই এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে । চোখের সামনে দাও দাও করে আগুনে পুড়ে নষ্ট হয়ে যেতে দেখেন নিজেদের ফলের দোকান । আর তাতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন  ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা। তাঁদের বক্তব্য, কিভাবে এই ঘটনাটি ঘটলো কিছুই বুঝতে পারছি না । তবে এ ঘটনার পিছনে কোন ষড়যন্ত্র রয়েছে বলেও অভিযোগ ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের। তাঁদের বক্তব্য, একেকটি দোকানে ৩ থেকে ৪ লাখ টাকার ফলসহ নানান সামগ্রী ছিল।  একসঙ্গে পরপর ২৫ টি দোকান পুড়ে ছারখার হয়ে গিয়েছে।

এদিকে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর কালিয়াচকের ওই ফল বাজারে মালদা শহর থেকে পৌঁছায় দমকলের দুটি ইঞ্জিন। কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা তাঁদের ক্ষতিপূরণের দাবিতে সংশ্লিষ্ট এলাকার পঞ্চায়েত এবং প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েছেন।

এদিন ক্ষতিগ্রস্ত ফল ব্যবসায়ী আমিনুল শেখ, বদিরুদ্দীন শেখদের বক্তব্য, ভোর তিনটে নাগাদ জানতে পারি কালিয়াচকের ফল বাজারে বীভৎস আগুন লেগেছে। কাকভোরে আমরা একে অপরকে ফোন করে  ফল বাজারে ছুটে যায়। চোখের সামনেই সমস্ত দোকানগুলো পুড়ে নষ্ট হয়ে যায়। আমাদের অনুমান এই ঘটনার পিছনে কোন মাদক কারবারীরা যুক্ত রয়েছে। এই ফল বাজার এলাকায় বেশ কিছুদিন ধরে মাদক কারবারীদের বেআইনিভাবে ঠেক চলছিল। তার বিরুদ্ধে কিছু ফল ব্যবসায়ী প্রতিবাদ করেছিলেন। হয়তো সেই কারণে মাদক কারবারীদের কেউ বা কারা এই ফল বাজারে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।

মালদা মার্চেন্ট চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি জয়ন্ত কুন্ডু বলেন, কালিয়াচকের ফল বাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার খবর শুনেছি বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক বুধবার ওই এলাকায় সংগঠনের একটি প্রতিনিধিদল যাবে তারা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলবে এই ঘটনার পেছনে কোনো ষড়যন্ত্র রয়েছে কিনা সেটিও আমরা সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রশাসনকে জানাবো।

কালিয়াচক থানার পুলিশ জানিয়েছে, ব্যবসায়ীদের দাবি তাদের ৫০ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ফল ব্যবসায়ীদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। কারণ দমকলের তদন্তকারী কর্তারা এখানে শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগার বিষয় পরিষ্কার করে কিছু জানাতে পারে নি । ফলে এ ব্যাপারে কোন ষড়যন্ত্র রয়েছে কিনা সেটিও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। আশেপাশে কোন সিসি ক্যামেরা রয়েছে কিনা সেটিও খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

Leave a Reply