মলয় দে নদীয়া:- নদীয়া জেলার মাজদিয়া থেকে তিন কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এশিয়ার মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম এবং পূর্ব ভারতের সবচেয়ে বড় শিবলিঙ্গ বলেই শিবনিবাসকে জানে সকলে। রাজ্যের প্রসিদ্ধ শিব মন্দিরগুলির মধ্যে রয়েছে মাজদিয়ার রাজ রাজেশ্বর মন্দির৷ নদীর ঘাট থেকেই নজরে পড়ে সুউচ্চ মন্দিরের চুড়ো।
শোনা যায়,কৃষ্ণচন্দ্র বাংলায় বর্গী আক্রমণের সময় তাঁর রাজধানী কৃষ্ণনগর থেকে মাজদিয়ায় সরিয়ে আনেন৷ শিবের নামে নামকরণ করেন শিবনিবাস৷ এখানে তিনি এক সুন্দর রাজপ্রাসাদ ও কয়েকটি মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন৷ তারমধ্যে তিনটি মন্দির এখনও অবশিষ্ট হয়েছে৷ এরমধ্যে সবচেয়ে পুরোনো মন্দিরটি হল রাজরাজেশ্বর শিবমন্দির।বাকি সব ধ্বংস, যার চিহ্ন ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে শিবনিবাসে। জানা যায়
কৃষ্ণচন্দ্র রাজা অগ্নিহোত্রী বাজপেয়ি যঞ্জ সম্পন্ন করেছিলেন, কাশি থেকে ধর্মীয় পুরোহিত-পণ্ডিতরা এসে এই মন্দির দর্শন করে, আপ্লুত হয়ে ছিলেন, স্বীকৃতি দিয়েছিলেন কাশির সমতুল্য হিসাবে। সেই থেকে সারা পৃথিবীতে স্বনামধন্য এই শ্রীনিবাস।
পথের ডান দিকের মন্দিরটির নির্মাণ ১৭৬২ সালে। বর্গাকার প্রস্থচ্ছেদের মন্দির। মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্রের দ্বিতীয় মহিষীর প্রতিষ্ঠিত এই মন্দিরের ‘রাজ্ঞীশ্বর’ সাড়ে ৭ ফুট উঁচু। পথের বাঁ দিকে রামসীতা মন্দির। পশ্চিমমুখী চার চালা মন্দির। শিখরে ৪টি মিনার।বুড়ো শিবের মন্দির বলে খ্যাত এই মন্দির এক ঝলক দেখলে গির্জা বলে মনে হয়। চুড়ো সমেত এই মন্দিরের উচ্চতা ১২০ ফুট, আটকোনা মন্দির, প্রতিটি কোনায় মিনার ধরনের সরু থাম রয়েছে।
শিবরাত্রি উপলক্ষ্যে গতকাল ভক্তদের ভীড় ছিল চোখে পড়ার মতো।