সোশ্যাল বার্তা : নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগরের সদরের মোড়ে রয়েছে বাংলা ভাষা শহীদ স্মরণে একটি তোরণ। ২০০২ সালেের ১৯শে মে নবচেতনার উদ্যোগে তোরণটি উদ্বোধন করেন মোহাম্মদ তৌফিক হোসেন বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনার কলকাতা। সেই তোরণটির একটি অংশ অনেকদিন ধরে ভেঙে পড়েছিল। জায়গাটির পাশে নোংরা আবর্জনায় ভর্তি হয়ে ছিল। এবার সেই তোরণটি সংস্কার করে প্রায় পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে দিল নদীয়ার কৃষ্ণনগরের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কৃষ্ণনগর ঐকতান। এছাড়াও সেখনে কিছু বৃক্ষরোপণ করা হয়। উল্লেখ্য নদীয়ার এই অরাজনৈতিক সংগঠনটি সারা বছর ধরেই কৃষ্ণনগর শহরের মনীষীদের মূর্তি সংস্কার করে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে।
২১শে ফেব্রুয়ারি বাংলাকে রাষ্ট্রভাষার ভাবি জানিয়ে পূর্ববঙ্গের রাজধানী ঢাকায় ১৯৪৭ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বরে ভাষা-বিক্ষোভ শুরু হয়। ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি তার চরম প্রকাশ ঘটে।
ঐদিন সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা ১৪৪ ধারা অমান্য করে রাজপথে বেরিয়ে এলে পুলিশ তাদের ওপর গুলি চালায়। এতে আবুল বরকত, আবদুল জব্বার,রফিক, আবদুস সালামসহ ছাত্রযুবা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন অনেকেই আহত হন।
১৯৯৮ সালে কানাডাতে বসবাসরত দুই বাঙালি রফিকুল ইসলাম এবং আব্দুস সালাম প্রাথমিক উদ্যোক্তা হিসেবে একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণার আবেদন জানিয়েছিলেন জাতিসংঘের মহাসচিব কফি আনানের কাছে । ১৯৯৯ খ্রিষ্টাব্দের ১৭ই নভেম্বর অনুষ্ঠিত ইউনেস্কোর প্যারিস অধিবেশনে প্রস্তাব উত্থাপন করা হয় ও এতে ১৮৮টি দেশ সমর্থন জানালে একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
কৃষ্ণনগরে ঐকতান এর সভাপতি অরিন্দম দেব জানান “কৃষ্ণনগরের অন্যবাক নামে একটি পত্রিকা প্রতিবছর ২১শে ফেব্রুয়ারি দিনটি পালন করে । ওনারা সংস্কারের জন্য আবেদন করেছিলেন তাই জায়গাটি সংস্কার করে রং করে দেওয়া হলো।