মলয় দে, নদীয়া:- ধর্মীয় হোক বা সামাজিক যে কোনো অনুষ্ঠানেই, আনন্দ পেতে এবং অন্যকে খুশি করতে খুল্লাম খুল্লা অর্থ খরচ করে থাকেন সাধারন মানুষ তো বটেই দানবীর দাতা কর্ণ হয়ে ওঠেন হাড়কৃপণরাও।
এই আবেগকে কাজে লাগিয়ে এই প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা ব্যবসা না শিখেও হয়ে উঠছেন পাক্কা ব্যবসায়ী। রং তুলিতে দুর্গাপূজা ,হোলি, জন্মাষ্টমী, বড়দিন, নানান ছবি মাঙ্গলিক চিহ্ন ফুটিয়ে তোলেন তাঁত শাড়িতে। একের পর এক সাফল্য সাহস যুগিয়েছে তাদের। নদীয়ার শান্তিপুর শ্যামবাজারে এইরকমই তিন বন্ধু, আসন্ন বড়দিন উপলক্ষে বিগত এক মাসে বিক্রি করেছেন পাঁচ শতাধিক শাড়ি অবশ্য যার বেশির ভাগটাই কোন এক ব্যবসায়ীর অর্ডার অনুযায়ী। তবে তারা জানান ব্যক্তিগতভাবেও নিজস্ব পছন্দ অনুযায়ী বিষয়বস্তু বা ডিজাইন দিলে সেই রকমও করে দেওয়া হয়। তবে ফেব্রিক রং ব্যবহার করার কারণে রং ছুটে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই বলে দাবি করেন তারা। বড়দিন উপলক্ষে শুধু ক্রিশ্চিয়ান ধর্মীয় সমাজের মহিলারা নন বিভিন্ন ধর্মালম্বী মহিলারাও যে কোন ধর্মীয় অনুষ্ঠান কে উৎসব মনে করে থাকেন বলেই তাদের অভিজ্ঞতা ব্যক্ত করেন। বড়দিনের আর মাত্র কয়েকটা দিন বাকি, প্রস্তুত করে রাখা সমস্ত শাড়ি বিক্রি হয়ে যাওয়ায় নতুন শাড়ি প্রস্তুত করতে অত্যন্ত ব্যস্ততা লক্ষ্য করা গেল।