বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের পোশাক তৈরি হতে চলেছে নদীয়ার বিভিন্ন লুমে , ব্যাপক কর্মসংস্থানের উজ্জ্বল সম্ভাবনা

News

মলয় দে, নদীয়া:- চলছে সমবায় সপ্তাহ, আর এই সমবায়ের মাধ্যমেই রাজ্যে যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। সে বিষয়ে কিছুদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, রাজ্যে উৎপাদনমুখী সকল পরিকাঠামো রয়েছে। তাই অন্য রাজ্যের মুখাপেক্ষী হয়ে আর থাকা নয়। বিভিন্ন উৎপাদনে মনোযোগী হয়েছেন তিনি। যদিও বিরোধীরা মনে করেন পশ্চিমবঙ্গে শিল্পে বিদেশি লগ্নি কারীরা আগ্রহী করে তুলতে এ সরকার ব্যর্থ।

কিন্তু বিতর্কের কথা যাই হোক, রাজ্যের প্রয়োজনীয় চাহিদা রাজ্য উৎপাদন হলে ব্যাপক কর্মসংস্থানের মাধ্যমে উপকৃত হবে রাজ্যবাসী। আর হয়তো সেই দিকেই এগোচ্ছে রাজ্য সরকার।
আজ নদীয়ার শান্তিপুর হ্যান্ডলুম অফিসে শতাধিক সমবায় এবং ব্যক্তিগত উদ্যোগে দের নিয়ে এক বৈঠক করতে দেখা গেলো জেলার এ ডিএম, হ্যান্ডলুম জয়েন্ট ডিরেক্টর এবং নানান সরকারি বিভাগীয় পদাধিকারীগণ।
সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা যায় রাজ্যে, প্রতি বছরে ছয় কোটি মিটার কাপড় লাগে স্কুল ইউনিফর্ম তৈরি করতে আর সেটাই যদি পাওয়ার লুমের মাধ্যমে তৈরি করা যায় তাহলে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে, অন্যদিকে সেলাই এবং আনুষঙ্গিক নানান বিষয়ে উৎপাদিত অর্থ থাকবে রাজ্যের মধ্যেই।

এক ব্যক্তিগত উদ্যোগী গজেন্দ্র সরকার জানান শান্তিপুরে এরকম মেশিনে কাপড় উৎপাদিত করছেন প্রায় কুড়ি পঁচিশ জন। তবে সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া চালু হলে দুই হাজারেরও বেশি মেশিন এর প্রয়োজন হবে।

রানাঘাট থেকে আগত তপন দেবনাথ জানান বহু মূল্যের এই মেশিনে বর্তমানে তাঁতের শাড়ি উৎপাদন ঠিকঠাক হলেও বিক্রির বাজার মন্দা। তাই মুখ্যমন্ত্রীর এ ধরনের উদ্যোগ অত্যন্ত যুগোপযোগী।

অপর এক উদ্যোগী সৌম্য বিশ্বাস জানান ১০ লক্ষাধিক টাকারও বেশি খরচের এই মেশিন ব্যক্তিগতভাবে কেউ কিনতে না পারলেও সমবায় গঠন করে হ্যান্ডলুম এর মাধ্যমে অংশগ্রহণ করে উপার্জনে আগ্রহী এ প্রজন্মের বেকার ছেলেমেয়েরা এই প্রকল্পে অংশগ্রহণ করতে পারবে।

যদিও হ্যান্ডলুমের সাথে যুক্ত এক অংশের তাঁতিরা আরো ক্ষতির আশঙ্কা দেখছেন। হ্যান্ডলুম চলুক তার নিজের পথে পাওয়ার লুম এর মাধ্যমে প্রযুক্তিকে মেনে নিয়েই কর্মসংস্থানের পক্ষে বেশিরভাগ তাঁতি মতামত ব্যক্ত করেছেন।

Leave a Reply