সোশ্যাল বার্তা : ঘূর্ণিঝড় ইয়াস এর থাবায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে এলাকার চারপাশ। উপড়ে গেছে বড়ো বড়ো গাছ।আর এর মধ্যেই বাসা হারিয়ে বাস্তুহারা হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে নানা পাখির দল। তাদের জন্য তো কোনো ত্রান নেই।
এবার এই বাস্তুহারা পাখিদের জন্য বিশেষ ভাবে কৃত্রিম বাসা তৈরীর উদ্যোগ নিল পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুর থানার পঁচেট গ্রামের পঁচেট জুয়েল স্টার ক্লাব। সদস্যরা উদ্যোগ নিয়ে গাছের ওপর রেখে দিচ্ছেন ছোটো ছোটো বাসের উপকরণ দিয়ে তৈরি কৃত্রিম পাখির বাসা । বাসার ভেতরে দেওয়া হচ্ছে খড় ও শুকনো পাতা,বট গাছের ঝুরি রাখা হয়েছে কৃত্রিম বাসায়। যাতে সাময়িকভাবে পাখিরা আশ্রয় খুঁজে নিতে পারে।
৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে এমনই উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে এসেছে পঁচেট জুয়েল সটার ক্লাবের সদস্যরা ইতিমধ্যেই পাখি সংরক্ষণের জন্য তারা বাসাগুলিতে পাখির খাবার ও দিচ্ছেন । পঁচেটের বাজার, সমিতি, রাজবাড়ী এলাকা চিহ্নিত করে বিভিন্ন গাছে ছোটো ছোটো ঝুড়ি ও মাটির কলসি বেঁধে রেখে এসেছে ক্লাবের সদস্যরা। যাতে অন্তত কিছুটা হলেও পাখিদের বাসার সমস্যা দূর হয়। তবে এই ক্লাবের সদস্যদের ভরসা পাখিরা ঘুরে দাঁড়াবেই।তারা নিজেদের বাঁসা নিজেরাই তৈরী করে নেবে একদিন। আপাতত সামান্য একটু ক্ষতিপূরণের জন্য এই বন্দোবস্ত বলে জানিয়েছেন ক্লাবের কর্মকর্তা সৈকত মাইতি। এমনিতেই সারা বিশ্বে জনবসতি বৃদ্ধি ও গ্রাম-নগর উন্নয়নের জন্য গাছ কাটা হচ্ছে প্রতিনিয়ত। ফলে শেষ হচ্ছে প্রকৃতি। সেইসঙ্গে বিপদে পড়েছে প্রাণীজগৎ। পাখিরাও রয়েছে সেখানে।এনিয়ে নানা সময় অভিযোগে তুলেছেন পরিবেশবিদরা। কোনো প্রকার পরিবর্তন হয়নি এই গাছ কাটা।সেখানে পাখিদের ক্ষতি হতো ধীরে ধীরে। কিন্তু,আচমকাই আমপান নামক ঘূর্ণিঝড় আসায় পাখিদের বড়ো ক্ষতি হয়েছে। বহু ছোটো বড়ো গাছ ভেঙ্গেছে। সেইসঙ্গে অনেক পাখি মারা গেছে ও পাখির বাসা ভেঙ্গে গেছে। কাজেই উদ্বাস্তু জীবন কাটাতে হচ্ছে তাদের।
প্রথম দিনেই তারা ৩০ টি কৃত্রিম পাখির বাসা বানিয়ে এলাকার বিভিন্ন গাছে বাঁধে এবং সমাজকে পাখি সংরক্ষণের বার্তা প্রদান করে তারা। এই কর্মসূচিতে ছিলেন সংস্থার সদস্য সৈকত মাইতি, নন্দন রাউৎ, সুব্রত রাউৎ, নন্দন রাউৎ, প্রদীপ মাইতি, প্রবীর দাস।