অতনু ঘোষ পূর্ব বর্ধমান: করোনাকালীন পরিস্থিতিতে আসন্ন বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপূজা। দিন আনা দিন খাওয়া পরিবার গুলির নতুন জামাকাপড় কেনার সাধ্য টুকুও তাদের নেই।
তাই এবার মহালয়ার পুণ্য লগ্নে অসহায়-দুস্থদের সাথে শারদীয়ার আনন্দ ভাগ করে নিতে পূর্ব বর্ধমান জেলার বড়শুল কিশোর সংঘ সম্পূর্ণ নিজ উদ্যোগে দুঃস্থদের মাঝে নতুন বস্ত্র বিতরণ করলেন।
বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গোৎসব। দূর্গাপুজা মানেই নতুন পোশাক। এই সময় নতুন পোশাক না হলে বাঙালির মন ভারাক্রান্ত থাকে।
আর তাই এই করোনা আবহে ৫০০ জন অসহায়-দুঃস্থ মহিলাদের হাতে শারদীয়ার উপহার স্বরুপ নতুন শাড়ি তুলে দিল বড়শুল কিশোর সংঘ।
আজকের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধারা, বর্ধমান উত্তর বিধানসভার বিধায়ক নিশিথ মালিক, বর্ধমান জেলার পিডিএসসির সভাপতি তথা মেমারি বিধানসভার বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য, শক্তিগড় থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক কুনাল বিশ্বাস, বর্ধমান 2 ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক সুবর্ণা মজুমদার, বড়শুল ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের BMOH ন্যায়ভিষেক যশ, নেহেরু যুব কেন্দ্রের জেলার সমন্বয়ক উত্তরা বিশ্বাস, বড়শুল 2 নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অরুণ গোলদার সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তি বর্গ গন।
আজকে এই বস্ত্র বিতরণ কর্মসূচি সম্পর্কে ক্লাবের সম্পাদক পার্থ ঘোষ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন যে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপূজায় নতুন এর স্বাদ যেন সবাই পায় তার জন্যই এই প্রচেষ্টা এবং আগামী দিনে তারা এলাকার বর্জ্য পদার্থ সংগ্রহ করার জন্য চারটি ব্যাটারি চালিত গাড়ির ব্যবস্থা করতে চলেছে এবং বড়শুল দু’নম্বর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র করে তারা দত্তক হিসেবে নিতে চাইছে। তার জন্য সমস্ত নিয়ম মেনে তারা ধীরে ধীরে এগোচ্ছে এবং আগামী দিনে আমি এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রেকে তারা সুন্দর স্বচ্ছ ও পরিচ্ছন্নতার রুপ দেবে বলে মনে করছেন তারা।
আজকের এই বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে এসে জেলা পরিষদের সভাধিপতি সম্পা ধারা বড়শুল কিশোর সংঘের ভূয়শী প্রশংসা করলেন।
এলাকা দুস্থ মহিলাদের নতুন শাড়ি উপহার দিয়ে জনগণের কাছে ক্লাবের পক্ষ বার্তা দিলেন যে বড়শুল কিশোর সংঘ পুজো কাটাবেন অসহায় মানুষের সাথে এবং তাদের সাধ্যমতো সাহায্য করে তাদের পাশে দাঁড়াবে।
পাশাপাশি অন্যান্য ক্লাব সংগঠন গুলিকেও সাধারণ অসহায়-দুস্থ মানুষের পাশে থাকার বার্তা দিলেন।