মলয় দে নদীয়া:- সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ এর বার্তা সকলের মুখে মুখে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মাননীয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প । কিন্ত তা অনেকেই মেনে চলেন না । বিষয়টির চোখ এড়ায়নি শান্তিপুরের বাসিন্দা পাপাই ঘোষের ।
পেশায় শাড়ীর ব্যবসায়ী হলেও, শান্তিপুর থানা সহ বিভিন্ন সংস্থার হয়ে সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতেন। সেটাই ফলপ্রসূ করলেন তার নিজের বিবাহে।
নদীয়া জেলার শান্তিপুরের কুটির পাড়া নিবাসী দীনবন্ধু ঘোষের জ্যেষ্ঠ কন্যার সাথে তার একমাত্র পুত্র পাপাইয়ের বিবাহ দিন ধার্য করছিলেন অরবিন্দ ঘোষ।
যথারীতি বরযাত্রী যাওয়ার সময় সকলেই হতবাক! ৪৭টি মোটর সাইকেলের চালক এবং আরোহীর প্রত্যেকের হেলমেটের ব্যবস্থা।
ওদিকে পাত্রী জয়িতা দাস, সহ বাড়ির সকলে বরযাত্রী আসছে দেখে অবাক! একি! বর সহ সকলেই তো মোটর সাইকেলে।
আজ সকালে নববধূ নিয়ে ফেরার সময় একই দৃশ্য। সোলার মুকুট এর বদলে হেলমেট।
নববধূ জয়ীতা’র মতে “শুধু আমাকে সারপ্রাইজ দিল তাই নয়, সর্বসাধারণের সচেতনতাও বাড়লো । স্মৃতি হয়ে থাকল আমাদের বিবাহ” ।
পাপাই ঘোষ জানান, “বিগত দিনে বেশ কিছু বন্ধুকে হারিয়েছি পথ দুর্ঘটনায়, মজার ছলে হলেও কিছু মানুষকে নিশ্চয়ই সচেতন করতে পেরেছি।”
প্রসঙ্গক্রমে, আজ শান্তিপুর দুটি পৃথক মোটর সাইকেল দুর্ঘটনায় ৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হন। সত্যি কি সচেতন করা সম্ভব হচ্ছে মানুষকে? প্রশ্ন থেকেই যায়! প্রচার নয়,অনুভব এবং বাস্তবে মেনে চলা এই দুইয়ের অস্তিত্ব সংকট আজ।