মলয় দে, নদীয়া:- চলতি ট্রেনেই ভূমিষ্ঠ হলো নবজাতক। সদ্যোজাত কন্যার বাবা সমীরন ভৌমিক হালিশহর রবীন্দ্র পল্লীর বাসিন্দা, পেশায় অস্থায়ী ভাবে রেলের সাফাই কর্মী।
আজ সকালেও কল্যাণী জে এন এম হাসপাতালে গর্ভকালীন চিকিৎসা করাতে যান, সেখানে গর্ভবতী মাকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চিকিৎসক জানান এখনো সন্তান প্রসবের ঢের দেরী, অক্টোবর ৮ তারিখ! কিছু ওষুধ এবং একটি ইনজেকশন দেওয়ার পর তিনি, নিশ্চিন্ত হয়ে বাড়ি ফেরেন এবং সন্ধ্যায় বাপের বাড়ি উদ্দেশ্যে স্ত্রী পায়েল এবং এক পিসি শাশুড়ি কে নিয়ে রওনা দেন শান্তিপুরের উদ্দেশ্যে। কল্যাণী থেকে পেটে ব্যথা শুরু হয় রানাঘাটে তা আরো প্রকট হয়, এরপর চলন্ত লেডিস কম্পার্টমেন্টের মধ্যেই অন্যান্য মহিলা যাত্রীদের সহযোগিতায় কন্যা সন্তান প্রসব হয়। রেল কর্মীদের সহযোগিতায় শান্তিপুর রেল স্টেশনে ট্রেন থামা মাত্রই তাকে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায় বেশ কিছু যাত্রী।
সমীরন বাবু জানান, তিন বছর বয়সী এক পুত্র সন্তান থাকার পর কন্যা সন্তান আশা করেছিলেন গোটা পরিবার। ভোগান্তি এবং দুশ্চিন্তা কাটিয়ে এখন তিনি খুশি, কৃতজ্ঞ সকলের কাছে।
তবে গর্ভবতী মহিলার পিসি মন্দিরা দেবীর প্রশ্ন, সকালে চিকিৎসক জানালেন ঢের দেরি আর সন্ধ্যায় প্রসব ? অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেল নবজাতক এবং জন্মদাত্রী মা।