মলয় দে, নদীয়া:_ রাজবাড়ী হোক বা জমিদার বাড়ি! দুর্গাপূজো যে কতদিনের পুরনো, তানিয়ে ঠান্ডা লড়াই লেগেই থাকে। তবে তথ্যভিত্তিক বারোয়ারি পুজোর প্রথম প্রচলন ১৭৭০ সালে হুগলির গুপ্তিপাড়ায়। ১২ জন ইয়ার অর্থাৎ বন্ধু মিলে সে পুজো হওয়ার কারণে সেই থেকে “বারোয়ারী” কথাটির প্রচলন শুরু হয়েছে। দ্বিতীয় বারোয়ারি পুজো হিসেবে উঠে আসে শান্তিপুরের বুড়ো বারোয়ারির দূর্গা পূজার নাম। ইংরেজির ১৭৭২ সালে বাংলা ১১৭৯ সনে ডাবরে পাড়ায় কিছু যুবক মিলে এই পুজো শুরু করেন বলেই জানা যায় এলাকার প্রবীণ দের কাছ থেকে, অর্থাৎ এ বছর তাদের আড়াইশো বছরে পদার্পণ। কলকাতার বাগবাজার সার্বজনীন দুর্গোৎসব আরো অনেক পরে ১৯১০ সালে। তবে রাজবাড়ী জমিদার বাড়ির নিয়ম নিষ্ঠার বেড়াজালে প্রতিমা দর্শন হলেও দুর্গোৎসবে সকলের জন্য উন্মুক্ত ছিলো বারোয়ারি। এবং পুজোর আনন্দ স্বাচ্ছন্দ্যে উপভোগ করতে পারতেন সাধারণমানুষ। তাই সেসময় দুর্গাপুজো দেখতে এই বারোয়ারিতে ভীড় করতেন, শান্তিপুরের আপামর জনসাধারণ। এমনকি জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা আত্মীয়-স্বজন সকলেই উপস্থিত হন বারোয়ারি সংলগ্ন বিভিন্ন বাড়িতে। পুজোর চার দিন শিশু কিশোরদের নাচ গান আবৃত্তি মহিলাদের শঙ্খ বাজানো প্রদীপ জ্বালানো প্রতিযোগিতা সে আমল থেকে আজও চলে আসছে পুজোর রীতিনীতির মতই। মায়ের ভোগ নিবেদনে বাড়ির মেয়ে শশুর বাড়িতে যাওয়ার মতন ইলিশ মাছ খাইয়ে বিদায় জানানো হয়।