সোশ্যাল বার্তা : বাবার শিল্পকর্মকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য একমনে কাজ করে চলেছেন নদীয়ার কৃষ্ণনগরের চকেরপাড়ায় বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যমের বিদ্যালয়ের গণিতের শিক্ষিকা আবৃত্তি বাগচী।
জানা যায়, করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছিলেন তাঁর পিতা তথা কৃষ্ণনগরের প্রখ্যাত ডাকের সাজ শিল্পী আশিস বাগচী। ফলে থেমে যায় বাড়িতে অনেক বছরের পুরোনো ডাকের সাজের শিল্প’র কাজ। গণিতে স্নাতকোত্তর আবৃত্তি বাবার এই কাজের সঙ্গে কখনই যুক্ত ছিলেন না। চোখের সামনে থেমে যাবে শিল্পকর্ম মেনে নিতে পারেনি আবৃত্তি।
করোনার গ্রাসে তাদের এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত শ্রমিকরা কাজ হারায় । সেই সব পরিবারের পাশে দাঁড়াতে নিজেই উদ্যোগ নেওয়া শুরু করলেন। বাবার কারখানার কর্মীদের কাছ থেকেই কিছু কিছু কাজ শেখা শুরু, তারপরে কলকাতার কুমোরটুলিতে কাজের খোঁজ। এভাবেই লড়াই করে চলেছেন আবৃত্তি।
সারা দেশে কৃষ্ণনগরের তৈরি দেব-দেবীর সাজসজ্জার বিভিন্ন সামগ্রীও খ্যাতি অর্জন করেছে ।
কলকাতার কুমারটুলি দেব-দেবীর প্রতিমা তৈরি হলেও কৃষ্ণনগরের তৈরি মুকুট প্রতিমার মাথায় শোভা পায়। কৃষ্ণনগরের ডাক শিল্পী আশিস বাগচীর তৈরি মুকুট কলকাতার বাগবাজার এর পুজো মণ্ডপের প্রতিমার মাথায় শোভা পেত । কিন্তু তিনি মারা যাওয়ার পরে পুজো কমিটি ভরসা করতে পারেনি আবৃত্তির উপর।
তবু আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন তিনি। জানা যায় জামশেদপুর থেকে একটি বড় মুকুটের বরাত পেয়েছেন যার উচ্চতা দশ ফুট।
আবৃত্তি জানায় “বাবার স্বপ্নকে বাঁচিয়ে রাখতেই আমার এই কাজের সঙ্গে যুক্ত হওয়া। বিশেষ করে আমার মা আমাকে অনুপ্রাণিত করে। কারখানার সবাই যেভাবে আমাকে সহযোগিতা করেছে তা ভোলার নয়”।