মলয় দে, নদীয়া:-
‘করম সখী’
হামাদের পরব গুলান ছুটির আশায় আর বুক বাধেনা
হাড়ভাঙ্গা খাটুনির পরেও ভুখা পেট গুলান অপেক্ষায় থাকে কবে পরব আসবে
প্যান্ডেলের বদলে সে চায় করম পাতার ছাউনী
চায়না বাজীর আঘাতে আহত হোক বসুমাতা
সে চায় করম সখীর ঘুঙুরের আওয়াজ আর নাচনী
হামাদের বোনেরা একদিন চাষের জন্ম দিয়েছিল নদীর চরে
সেদিন রুখা পাথর দেখেছিল সবুজের মুখ
সবুজের রক্ষার গীত বেঁধেছিল নদীর তীরে
আজ হামদের করম
সে এসেছে জাওয়া ডালির উপর অঙ্কুর সেজে
তোমরা এলে কই? করম থান অপেক্ষা করে মিলনের নাচ দেখবে বলে।
শহরের অবহেলায় আরো বয়স বাড়ে হামাদের পরব গুলার
ধুলা মাটি জমেছে মাদলে আর ধামসায়
তবু বেঁচে থাকবে হামাদের পরব,নদী, গীত আর নাচ
জন্ম নেবে আরো গীত বারবার।
এভাবেই নাচ এবং গানের মধ্যে দিয়ে সারাদিন হইহুল্লোড় করে কাটলো নদীয়ার মাজদিয়া ভীমপুর আসাননগর রানাঘাট থেকে আগত বিভিন্ন আদিবাসী নাচগান দলের প্রতিনিধিগণ জেলার বাইরে বর্ধমান থেকে এসেছেন বেশকিছু আদিবাসী কৃষ্টি ও সংস্কৃতির ধারক বাহকরা। ১০০টি করম গাছের চারা এবং ৫০ টি মহুয়া গাছের চারা নদীয়ার বিভিন্ন প্রান্তে রোপণের উদ্দেশ্যে কৃষ্ণনগর দিশারী পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বনবিভাগ থেকে নিয়ে এসেছে।
দিশারী সংগঠনের পক্ষে মানসী দাস জানান এখন থেকে আর বাঁকুড়া পুরুলিয়ায় যেতে হবে না করম গাছে আনতে, গতবছরের পোতা গাছ যাদের দেখভালের দায়িত্ব দিয়েছিলাম, এবার দেখলাম তারা সঠিক দায়িত্ব পালন করেছেন। তাই গাছের অভিভাবক সংখ্যা বৃদ্ধি করার চেষ্টা করলাম এবার।