খুঁটি পূজার মধ্য দিয়ে ঢাকে পড়ল কাঠি ! পুজোর থিমে ফুটে উঠবে সংবাদমাধ্যম 

Social

দেবু সিংহ, মালদা ১১সেপ্টেম্বর: এবার এখনো বর্ষা পুরোপুরি ভাবে যায়নি। তাই বাতাসে কাশ ফুলের গন্ধ চলে এসেছে। পূজার যে আর দেরি নেই। ৩১ দিন পরেই মা আসছে ঘরে। তারই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে বাঙালী। এরই মধ্যে খুঁটি পূজার মাধ্যমে পূজার প্রস্তুতি শুরু করে দিল মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের সব চাইতে বিগ বাজেট দুর্গাপূজার ক্লাব দক্ষিণী যুগাদর্শী। এবার তাদের পুজো পদার্পণ করল।

শনিবার খুঁটি পূজার মাধ্যমে তারা পুজোর প্রস্তুতি শুরু করে দিল। প্রতিবছরই নিত্যনতুন আয়োজন করে এলাকাবাসী কাছে চমক সৃষ্টি করে এই ক্লাব। নিত্যনতুন থিমের ভাবনা ফুটে ওঠে তাদের পূজো মন্ডপে। এবার দুর্গা পুজোতে ও সম্পূর্ণ নতুন ধরনের চিন্তা ভাবনা নিয়ে পূজার প্রস্তুতি শুরু করে দিল ক্লাবের কর্মকর্তারা। এদিন ক্লাব প্রাঙ্গণে খুঁটি পূজার মাধ্যমে আসন্ন শারদ উৎসবের প্রস্তুতি শুরু করে দিল দক্ষিণী যুগদর্শী। এদিন ক্লাব প্রাঙ্গণে ঢাক বাজিয়ে সুন্দর ভাবে খুঁটি পূজা আয়োজন করা হয়েছিল।

ক্লাব সূত্রে খবর এবারে তাদের থিম সংবাদমাধ্যমের সাতকাহন। এই থিমের মাধ্যমে আদিকাল থেকে আধুনিক যুগ পর্যন্ত সংবাদমাধ্যম কিভাবে নিজের রূপ পরিবর্তন করেছে তা ফুটিয়ে তোলা হবে। কাগজের খবর থেকে শুরু করে টিভি মিডিয়া এবং পোর্টালের খবরের মাধ্যমে আজ সংবাদ জগৎ মানুষের হাতের মুঠোয় পৌঁছে গিয়েছে। এই সমস্ত তাই তুলে ধরা হবে এই পুজোর থিমের মাধ্যমে। এবারের থিম শিল্পী গৌতম গাঙ্গুলী। প্রতিমা করবেন চাঁচলের লালু পাল। সব মিলিয়ে বাজেট ১০ লক্ষ টাকার মতন। এবারও ক্লাবের সদস্যরা আশাবাদী প্রতি বছরের মতো এবারও জেলার অন্যতম সেরা পুজো তকমা ছিনিয়ে আনবেন তারা। তবে করোনা পরিস্থিতির জন্য এবারও মণ্ডপে সাবধানতা এবং স্বচ্ছতা অবলম্বন করা হবে বলে ক্লাব কর্মকর্তারা জানালেন।

এ প্রসঙ্গে দক্ষিণী যুগাদর্শির সম্পাদক মানিক দাস জানালেন প্রতি বছরের মতো আমরা নিত্য নতুন ভাবনা নিয়ে পূজার আয়োজন করে থাকি। প্রতিবারের থিম এলাকাবাসীর চমক সৃষ্টি করে। এলাকাবাসীরা আশা করে থাকে আমাদের পুজো দেখার জন্য। তাই প্রতিবারের মতো এবারও নতুন ধরনের কিছু করবার জন্য প্রচেষ্টা নিয়েছি। আমাদের এবারের থিম সংবাদমাধ্যমের সাতকাহন। এই থিমের মাধ্যমে সংবাদমাধ্যমের পরিবর্তনকে আমরা পূজামণ্ডপে ফুটিয়ে তুলবো। প্রতিমা থেকে শুরু করে মন্ডপ সব মিলিয়ে ১০ লক্ষ টাকার মতো খরচ হবে। তবে করোনা পরিস্থিতির জন্য এবারও অনেক কিছু খরচ কমাতে হবে। আশা করছি এবারও আমাদের থিম হরিশ্চন্দ্রপুর সহ জেলায় নজর কাড়বে।

প্রত্যেক বছরই এলাকাবাসীর নজর থাকে এই পুজোতে। কারণ তাদের চিত্তাকর্ষক থিম মন কেড়ে নেয় মানুষের। এবারও তার অন্যথা হবে না। তারই প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেল শনিবার থেকে।

Leave a Reply