মলয় দে, নদীয়া : নদীয়ার শান্তিপুর শহরের ১২ নাম্বার ওয়ার্ড অন্তর্গত ভবানী পাড়ার বাসিন্দা সাহেব ও লালি! তাদের সাত সারমেয় সন্তান হলো গুন্ডা , মস্তান, শুকনো , টে রু , শুটকি , ডাকাত এবং সুন্দরী। পদবী ? ওদের মনিব রাজু দাসের বাড়িতে আশ্রিত ওরা সকলে ! ওরা পথের সারমেয়। তবে দাস বাড়িতে এ ধরনের রাস্তার সারমেয়দের অবাধ যাতায়াত!
রাজুদাসের স্ত্রী রিতা দাস জানান ওদের জন্য দরজা খোলা রাখতে হয় গভীর রাত পর্যন্ত! তবে মানুষের থেকেও বেশী সচেতন ওরা। অত্যাধিক শরীর খারাপ হলে হয়তো আমাদের বিব্রত না করার জন্যই ওরা বাইরে থাকে । মাস তিনেক আগে সুন্দরী নাক থেকে রক্ত পড়ে অনবরত। ফুলে যায় গোটা মুখ, স্থানীয়ভাবে বিভিন্ন পশু চিকিৎসক দেখানোর পরে রাজু দাস জানতে পারে ওর ক্যান্সার হয়েছে। রাজু দাস এর একমাত্র পুত্র রৌণক যোগাযোগ করেন উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার শ্যাম নগর শহর অন্তর্গত স্পর্শ নামক পশু চিকিৎসার একটি সংস্থার চিকিৎসক প্রসেনজিৎ গোস্বামীর সাথে । উক্ত সংস্থা থেকে পশু চিকিৎসক জিৎ মন্ডল শান্তিপুর শহর অন্তর্গত ভবানী পাড়ার রাজু দাসের বাড়িতে আসেন আজ। রীতিমতন স্যালাইন ইনজেকশন সহ দীর্ঘক্ষন চিকিৎসা চললো তার, প্রতিবেশীরাও খোঁজ-খবর নিলেন অসুস্থ সুন্দরীর । অন্য সারমেয়রাও অধীর আগ্রহে ছিলো অপেক্ষারত! পরিবার সূত্রে জানা যায়, অন্য সারমেয়দের কারোরই মন ভালো নেই! খাওয়া-দাওয়া ঘুম লাটে উঠেছে । চিকিৎসক জিৎ মন্ডল জানাচ্ছেন মোট পাঁচটি দিতে হবে তাকে তাহলেই সুস্থ হয়ে উঠবে সুন্দরী।
রাজু দাস জানান, আগামীতে পথে-ঘাটে ঘুরে বেড়ানো অসুস্থ সারমেয়দের সুস্থ করে তুলতে চান তিনি, শুধু সারমেয় নয়! আগামীতে পথের বেওয়ারিশ অসুস্থ ষাঁড়ের চিকিৎসা করাতে চান তিনি। এ ব্যাপারে সহৃদয় মানুষের সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি।