মলয় দে, নদীয়া:- বর্তমান লাগামছাড়া দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির পরে এখনো মাত্র ১ টাকার বিনিময়ে সিঙ্গারা পাও নদীয়ার শান্তিপুরের সূত্রাগড় অঞ্চলের পীরেরহাটে। ঝা চকচকে দোকান নয় ! নেই বসার জন্য কোনো চেয়ার টেবিল , দেখা গেলো না ঝকঝকে বিজলী বা তির সমাহার , পরিবারের অবিবাহিত তিন সদস্য বাদে একাধিক কর্মচারীর দেখা মিললো না । শহরের চারিপাশে হঠাৎ গজিয়ে ওঠা নানা ছদ্ম নামের মিষ্ঠান্য ভান্ডারের সাথে পাল্লা দেওয়া আড়াইশো বছর ধরে এই দোকানে ক্রেতার ভাটা পড়েনি কখনো।
সকল ঝাঁ-চকচকে মিষ্টির দোকান কে পিছনে ফেলে দুর্বার গতিতে ছুটে চলেছে অলোক দাসের মিষ্ঠির দোকান । তবে শান্তিপুর ঠাকুরপাড়াতেও একই মূল্যের ওপর একটি দোকানও আছে।
সূত্রাগড় পীরেরহাট এলাকা সূত্রে জানা যায় রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের আমলে তৈরি শান্তিপুরের এই দোকানটির প্রতিষ্ঠা ছিলেন শ্রীমন্মথ দাস, পরবর্তীতে সন্তোষ দাস এভাবেই বংশের ৫ পুরুষ অতিক্রান্ত করে বর্তমান অলোক দাস এবং তার দুই অবিবাহিত দিদি এই দোকানের মালিক।
রসগোল্লা পান্তুয়া আলু ভাজা ফুলুরি নিমকি সমস্তই কম দাম হলেও সিঙ্গারার জন্য মাছির মতন ভনভন করে, খাদ্য রসিক থেকে শুরু করে স্কুলপড়ুয়ারা। প্রারম্ভিক দাম কত ছিল তা জানা না থাকলেও বর্তমান মালিকের জানা তথ্য অনুযায়ী এক নয়া থেকে শুরু হয়ে মাত্র পনেরো কুড়ি বছর আগেও এই সিঙ্গারা বিক্রি হতো চার আনায়।