সোশ্যাল বার্তা: অভিনব রাখী উৎসব পালন করলো পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাটাশপুর ২ নং ব্লকের পঁচেট ৪ নং গ্রাম পঞ্চায়েত এর পঁচেট জুয়েল সটার ক্লাব।
সালটা ছিল ১৯০৫ । তৎকালীন ভারতবর্ষ ব্রিটিশের অধীনে। ব্রিটিশ সাহেব লর্ড কার্জন শাসনের সময়কালে এই পশ্চিমবঙ্গকে ধর্মের সুড়সুড়ি দিয়ে বাংলায় অস্থিরতার সৃষ্টি ও বিভাজন করার প্রয়াস চালানো হয়েছিল। সেই চক্রান্তকে প্রতিহত করতে হলুদ সুতো একেঅপরের হাতে বেঁধে দিয়ে “বঙ্গভঙ্গ আন্দোলন” রুখতে সচেষ্ট হয়েছিলেন বিশ্ববরেণ্য কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।তখন থেকেই প্রচলিত আজকের দিনটিকে রাখীবন্ধন উৎসব হিসেবে আমরা পালন করি।
তাঁরই ভাবার্দশকে পাথেয় করে বর্তমান ২০২১ সালের রাখীবন্ধন উৎসবটিকে অন্যভাবে পালন করল পঁচেট জুয়েল সটার ক্লাবের কর্মকর্তাগণ।বিশ্বের সার্থে পরিবেশে সবুজায়নের বৃদ্ধিতে গাছ বাঁচিয়ে রাখা ও গাছ লাগানোর বার্তা নিয়ে অভিনব কায়দায় ছোট বড় গাছে রাখী বেঁধে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করল ক্লাবের সদস্যরা। তাঁদের কথায়,গাছ হল আমাদের প্রকৃত ব্ন্ধু।এই উন্নয়নশীল বিশ্বে বেশি মানুষদের দ্বারা ও বিভিন্ন ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে পরিবেশ থেকে গাছের সংখ্যা ক্রমশঃ কমছে।পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে এবং প্রানীকূল টিকিয়ে রাখতে গাছ খুব প্রয়োজন।যা আমাদের আরও লাগাতে হবে। গাছ কাটা কম করতে হবে। গাছ ও মানবজাতির মধ্যে বন্ধুত্ব ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে বাঁধতে ক্লাবের পক্ষ থেকে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। এদিন সকাল থেকেই বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে ক্লাবের সদস্যরা ছোট বড় গাছগুলিতে রাখী বেঁধে পরিবেশ রক্ষায় আহ্বান জানালেন সাধারণ মানুষদের।
এই কর্মসূচির জন্য ক্লাবের সদস্যরা নিজেরাই রাখী তৈরী করেছেন। ক্লাবের সদস্যরা তৈরী করা রাখী গুলোকে বেঁধে দেয় ছোট বড় বহু গাছে। গাছ বাঁচাতে এধরণের মহান উদ্যোগ দেখে পথচলতি অনেকেই উৎসাহ দেন তাদেরকে। সাম্প্রতিক কালে, আমপান তান্ডবে বহু গাছপালা নষ্ট হয়েছে ও পাখিদের বসবাসের বাসা ভেঙ্গেছে। পরিবেশের সেই ক্ষতিপূরণের লক্ষ্যে গাছের সংখ্যা বৃদ্ধিতে বিভিন্ন সময়ে উৎসবের আমেজে সংঘবদ্ধ হয়ে বহু গাছ লাগিয়েছেন তারা। এছাড়াও, পাখিদের জন্য একাধিক কৃত্রিম উপায়ে বাসা বানিয়ে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে সকলের নজর কেড়েছিলেন এই সংগঠনের সদস্যরা।আজ, রবিবার রাখী পূর্ণিমার পূন্য লগ্নে গাছেদের প্রাণ কেড়ে “না” নেওয়ার জন্য যেভাবে আর্জি জানিয়েছেন। তা আবার অভিনব বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছে সংগঠনের সদস্যরা।সত্যি প্রশংসনীয় বলেছেন এলাকার বহু গুনিজন ব্যক্তিরা।এই কাজে সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন ক্লাবের পক্ষে সৈকত মাইতি।