মলয় দে ,নদীয়া :- ভুয়ো আইএএস ,সিবিআই ,ডাক্তার, ভ্যাকসিন অবশেষে আন্দোলনও ভুয়ো প্রমাণিত হলো।
সম্প্রতি নদীয়া জেলার কল্যাণী ব্লকের মদনপুর কেন্দ্রীয় আদর্শ বিদ্যালয়ের ৫জন পড়ুয়া উচ্চমাধ্যমিকের রেজাল্ট ও সার্টিফিকেট পাওয়ার জন্য বিদ্যালয়ের ছাদে উঠে আত্মহত্যার যে নাটক বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রচারের আলোকে এসেছিলো শুক্রবার তারই পরিপ্রেক্ষিতে বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক পুষ্পেন বসু, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্যদের নিয়ে জরুরী বৈঠক করেন বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য।
পুষ্পেন বাবু জানান, তিনি কাউন্সিল থেকে যে সমস্ত পড়ুয়ারা উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য ফর্ম ফিলাপ করেছিলো তার সিট তুলে এনে হতবাক। ওই পাঁচ জন ছাত্র তারা এই বছরের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার আবেদন করেনি! অর্থাৎ পরীক্ষার্থী হিসাবে গণ্য ছিলনা । ওই ছাত্র দের সূত্রে তিনি জানতে পেরেছেন,তারা কোন প্ররোচনায় পা দিয়েছিলো বলে তিনি দাবি করেন।
বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয়েছে.. আগামী বছর যদি এই ছাত্ররা ফরম ফিলাপ করতে চায় তাহলে তাদেরকে উচ্চমাধ্যমিকে বসার জন্য সমস্ত রকম সুযোগ-সুবিধা বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে করে দেবেন।
ছাত্ররা এবং তাদের অভিভাবকগণ একযোগে ক্ষমা চান বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে। তবে অভিভাবকরা বলেন, এ সমস্ত বিষয় তারা কিছুই জানেন না, আর যদি জানতেন তাহলে বিদ্যালয়ের বদনাম করতে তারা মোটেও তাদের সন্তানদের পক্ষপাতিত্ব করতেন না।
কিন্তু প্রশ্ন হলো, সেদিন কে বা কারা ছিলেন! যাদের প্ররোচনায় পা দিয়েছে আমাদের সন্তানরা? অপ্রাপ্তবয়স্ক ছেলেদের ভুল পথে পরিচালনা করে, বিদ্যালয়ের মান সম্মান ধুলোয় মিশিয়ে তাদের লাভ কি?