কৃষ্ণনগরে পালিত হলো বিশিষ্ট কবি, নাট্যকার ও গীতিকার  দ্বিজেন্দ্রলাল রায় এর জন্মদিন

Social

সোশ্যাল বার্তা : গতকাল ছিল ৪ঠা শ্রাবণ, বিশিষ্ট কবি, নাট্যকার ও গীতিকার  দ্বিজেন্দ্রলাল রায় এর জন্মদিন। নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগর শহরের বিভিন্ন জায়গায় যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হলো এই মনীষীর জন্মদিন।

স্টেশন লাগোয়া কবির জন্মভিঁটেয় মাল্যদানের মাধ্যমে কর্মসূচি শুরু করে কৃষ্ণনগরের সেচ্ছাসেবী সংগঠন কৃষ্ণনগর ঐকতান। কৃষ্ণনগর ঐকতানের উদ্যোগে কৃষ্ণনগর রেলওয়ে স্টেশন ও কৃষ্ণনগর স্টেশন সংলগ্ন পার্কে কবির মূর্তিতে মাল্যদান করেন ভারতীয় রেলের আধিকারিকবৃন্দ ও জিআরপির কর্মকর্তারা। এরপর সদর হাসপাতালের মোড় ও সংগঠনটির অবৈতনিক  শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মূর্তিতে মাল্যদান করে সংগঠনের সদস্যরা।

স্টেশন অ্যাপ্রোচ রোডের দ্বিজেন্দ্র পাঠাগার ও দ্বিজেন্দ্র স্মৃতিরক্ষা কমিটির পক্ষ থেকেও কবির আবক্ষ মূর্তিতে মাল্যদান করা হয়। উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট চিকিত্সক ডা: বাসুদেব মণ্ডল, স্বপন কুমার মৈত্র সহ অন্যান্যরা।

ছোটবেলা থেকেই তিনি ছিলেন অন্তর্মুখী, চিন্তাশীল এবং প্রকৃতি প্রেমী। কৃষ্ণনগর কলেজিয়েট স্কুল থেকে আর্টস, হুগলি কলেজ থেকে বিএ এবং পরবর্তীকালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক এবং কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে ইংরেজিতে এমএ পাশ করেন।

দ্বিজেন্দ্রলাল রায় বাংলা সাহিত্যের উজ্জ্বল এক ব্যক্তিত্ব। বাংলাসাহিত্যে দ্বিজেন্দ্রলাল রায় এর অবদান অনস্বীকার্য। ১৯০৫ সালে দ্বিজেন্দ্রলাল রায় কলকাতায় পূর্ণিমা মিলন নামে একটি সাহিত্য সমাজ প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর অজস্র নাটকের মধ্যে উল্লেখযোগ্য নূরজাহান,রানা প্রতাপ সিং, মেবার পাঠান,সীতা। তাঁর দেশাত্মবোধক গান দেশপ্রেমকে জাগরিত করে। গীতিকার ও সুরকার   দ্বিজেন্দ্রলাল রায় রচিত জনপ্রিয় দেশাত্মবোধক গানগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘বঙ্গ আমার জননী আমার’, ‘ধনধান্য পুষ্পভরা আমাদের এই বসুন্ধরা’।

কৃষ্ণনগর ঐকতান এর সভাপতি অরিন্দম দেব জানান ” কৃষ্ণনগরের মহান সন্তান দ্বিজেন্দ্রলাল রায়। ৪ঠা শ্রাবণ প্রতিবছর আমরা এই দিনটি পালন করে থাকি। স্টেশন সংলগ্ন কবির জন্মভিঁটেয়, কৃষ্ণনগর স্টেশন ও সদর মোড় সহ একাধিক জায়গায় কবির জন্মদিনে তাঁর আবক্ষমূর্তিতে মাল্যদান করা হলো। দ্বিজেন্দ্রলাল রায় আমাদের গর্ব”।

Leave a Reply