টিজিটি স্কেল , ক্যাশ চালুর দাবিতে দক্ষিণ দিনাজপুর ডি আই অফিসে ডেপুটেশনে শিক্ষক-শিক্ষিকারা

Social

নিউজ সোশ্যাল বার্তা : শিক্ষক সংগঠন বৃহত্তর গ্রাজুয়েট টিচার অ্যাসোসিয়েশন বা বিজিটিএ তাদের দাবীর সমর্থনে দীর্ঘ দুই বছরেরও অধিক সময় ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে । তাদের মতে তারা দীর্ঘ দুই দশকেরও অধিক সময় ধরে বঞ্চিত। আজ  দক্ষিণ দিনাজপুরের বিভিন্ন স্কুল থেকে আগত প্রায় ৪ শতাধিক গ্রাজুয়েট শিক্ষকগণ বালুরঘাট ট্যাংক মোড়ে জমায়েত করে বিডিও অফিস এবং বালুরঘাট হসপিটালের গেটের সামনে দিয়ে মিছিল করে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক ( মাধ্যমিক) এর অফিসে শান্তিপূর্ণ ডেপুটেশন কর্মসূচি সম্পূর্ণ করে।

জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক মহাা প্রশাসনিক কাজে ব্যস্ত থাকার কারণে উনি সহকারী জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক মহাশয়কে ডেপুটেশন গ্রহণের দায়িত্ব প্রদান করেন এবং সরকারি জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক শ্রী পিনাকি সাহা মহাশয় যথেষ্ট গুরুত্বের সাথে বিষয়টি ডেপুটেশন গ্রহণ করেন এবং আশ্বাস দেন তিনি রাজ্য শিক্ষা দপ্তরে বিষয়টি জানাবেন জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের এর মাধ্যমে ।

শিক্ষকদের দাবি গুলির মধ্যে মধ্যে অন্যতম বিষয়গুলো ছিল –
প্রথমত : পাস তকমা মুছে ট্রেন্ড গ্যাজুয়েট টিচারের মর্যাদা দেওয়া ও তাদের জন্য নির্ধারিত পে স্কেল ২০০৯ এর রোপা অনুযায়ী ৯০০০-৪০৫০০ ও গ্রেড পে ৪৬০০ প্রদান।

দ্বিতীয়তঃ পশ্চিমবঙ্গের সরকারি স্কুলের শিক্ষক, সরকারি কর্মচারী, পৌরসভা ও কলেজ শিক্ষকদের মত গভমেন্ট স্পনসর্ড স্কুল ও মাদ্রাসা শিক্ষকদেরও বিশেষ পদোন্নতির সুযোগ ( ক্যারিয়ার অ্যাডভান্সমেন্ট স্কিম) সংক্ষেপে (C.A.S) দিতে হবে ।

এ প্রসঙ্গে বিজিটিএ’র দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সভাপতি বিশ্বজিৎ সরকার বলেন “আজ আমরা জেলায় ডেপুটেশন কর্মসূচি গ্রহণ করলাম যতদিন না পর্যন্ত আমাদের এই বঞ্চনা মিটছে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব । হাইকোর্ট আমাদের পক্ষে রায় প্রদান করেছেন। আমরা মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাইছি । সরকার যদি আমাদের দাবি না মেটায় তাহলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হব “।