হাতে সময় কম ? ঘুরে আসতে পারেন ঝাড়গ্রাম জেলার গোপীবল্লভপুরের কাছে এক অসাধারণ জায়গা হাতিবাড়ি।হাতিদের করিডোর ছিল অনেক আগে তাই এলাকাটি হাতিবাড়ি নামে পরিচিত অনেকে আবার হাতিঘরও বলে থাকেন।
কলকাতা থেকে ২৬০-২৬৫ কিমি দূরে। পশ্চিমবঙ্গ-ওড়িশা-ঝাড়খণ্ড তিন রাজ্যের সীমান্ত এলাকাতে অবস্থিত হাতিবাড়ি বা হাতি ঘর । জায়গাটির এক পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে সুবর্ণরেখা নদী। আকাশমনি, শাল, সেগুন, পিয়াল আরও নাম না জানা গাছের বন , শাল গাছের প্রাচুর্য থাকায় অনেকে আবার শালগেড়িয়া বলে ডাকেন। বিভিন্ন প্রজাতির পাখিদের আনাগোনা রয়েছে এই এলাকা জুড়ে ।
কিভাবে যাবেন ?
সড়ক পথে কলকাতা থেকে ঝাড়গ্রাম হয়ে গোপীবল্লভপুর। সেখান থেকে ডানদিক ঘুরে পিচ রাস্তা ধরে ৭ কিমি গেলেই হাতিবাড়ি। ধর্মতলা থেকে গোপীবল্লভপুর যাওয়ার ডিলাক্স বাস ছাড়ে।
ট্রেন পথে কলকাতা থেকে ঝাড়গ্রাম। তারপর কেওনঝড়গামী বাসে কিম্বা গাড়িতে ৬২ কিমি গেলেই হাতিবাড়ি।
হাওড়া থেকে ঝাড়গ্রাম যাওয়ার ভালো ট্রেনগুলো হলো
১২৮৭১ ইস্পাত এক্সপ্রেস
১২৮১৩ টাটা স্টিল এক্সপ্রেস
২২৮৯১ হাওড়া রাঁচি ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস
১২৮৬৫ লালমাটি এক্সপ্রেস
এছাড়াও সাঁতরাগাছি ও শালিমার থেকে কয়েকটি ট্রেন আছে।
দর্শনীয় স্থান কি কি ?
শাল, সেগুন, আকাশমনি গাছের জঙ্গলমহল আকর্ষণের এক কারণ। আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হলো সুবর্ণরেখা নদী। স্থানীয় লোক মুখে কথিত আছে এককালে এই নদীর জলে সোনা ভেসে আসতো। দূরে উচুঁ পাহাড়ের সারি। নদীর পাড়ে নাম না জানা মাছ খেলা করছে। তার সাথে হরেক রকম পাখির কোলাহল। নদীতে মাছের সন্ধানে ভেসে চলেছে ছোট ছোট ডিঙ্গি নৌকা। ইচ্ছা করলে নদীতে নেমে স্নান ও সেরে নিতে পারেন। শীতকালে অনেক পরিযায়ী পাখিরা সেখানে আসে। সব মিলিয়ে এত মনোরম পরিবেশ যে ঘণ্টা চারেক সময় অনায়াসে পার হয়ে যাবে নদীর পাড়ে বসে বসে। নদীর ওপারে রয়েছে ডোমজুড়ি গ্রাম। নৌকা ভাড়া করে গিয়ে ঘুরে দেখতে পারেন। এছাড়া রয়েছে রামেশ্বর মন্দির, সবাই বলে এককালে রাম সীতা বেশ কিছুকাল সেখানে কাটিয়েছেন। এছাড়া ঝিল্লি বাঁধ ও সংলগ্ন লেক আর রয়েছে গোপীবল্লভপুরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অনেক মন্দির। মন্দিরগুলির স্থাপত্যশৈলী তাকিয়ে তাকিয়ে দেখার মত।
কোথায় থাকবেন ?
নদীর পাড়ে মনোরম পরিবেশে রয়েছে বনবাংলো। হাতিবাড়ি বনবাংলো । ঘরপ্রতি ভাড়া ১০০০। ফোন নম্বর ৮৯৭২৮৪০৫৩৯।
বিস্তারিত জানতে ঝাড়গ্রাম জেলার পর্যটন বিভাগে যোগাযোগ করুন ।