দেবু সিংহ, মালদা,:-অবশেষে অনুপ্রবেশের দায়ে ধৃত চিনা নাগরিক হান জুনেইকে লখনউ নিয়ে যাচ্ছে উত্তরপ্রদেশ এটিএস। বুধবার রাতে কড়া নিরাপত্তায় তাকে জেলা সংশোধনাগার থেকে মালদা স্টেশনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।জেলা পুলিশের তরফে তার জন্য কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ১০ জুন মালদা জেলার কালিয়াচক-১ নং ব্লকের আকন্দবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের মিলিক সুলতানপুর গ্রাম থেকে হান জুনেইকে গ্রেফতার করে সীমান্তরক্ষী বাহিনী। তার কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত হয় দামি ল্যাপটপ, আইফোন, চিন, ভারত ও বাংলাদেশের সিমকার্ড, দুটি মাস্টারকার্ড,পেন ড্রাইভ,মানি ট্র্যানজ়াকশন মেশিন,আমেরিকান ডলার সহ ভারত ও বাংলাদেশের মুদ্রা।তার সঙ্গে ছিল বৈধ পাসপোর্টও।তাকে জেরা করে বিএসএফ জানতে পারে সে অল্প কিছুদিনের মধ্যে অন্তত চারবার ভারতে আসা-যাওয়া করেছে।১১ জুন বিএসএফের তরফে তাকে কালিয়াচক থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।১২ জুন তাকে জেলা আদালতে তোলা হয়।আদালতের নির্দেশে ১৮ জুন পর্যন্ত তাকে নিজেদের হেফাজতে নেয় কালিয়াচক থানার পুলিশ।পুলিশ এই নিয়ে তদন্ত শুরু করলেও তার ল্যাপটপ ও আইফোনের পাসওয়ার্ড জানতে পারেনি।কারণ,সেগুলি মান্দারিন ভাষায় পাসওয়ার্ড লক করা ছিল।তবে কীভাবে সে কাঁটাতারের বেড়াবিহীন অরক্ষিত সীমান্ত দিয়ে এদেশে প্রবেশ করে তা ঘটনার পুনর্নির্মাণে দেখায় হান।এরই মধ্যে ১৬ জুন তাকে নিজেদের হেফাজতে নেয় রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স।কারণ,ততদিনে দেশের নিরাপত্তা সংস্থাগুলিও সন্দেহ করতে শুরু করেছে, ইংরেজিতে স্নাতক হওয়া চীনা গুপ্তচর।
সূত্রের খবর, হান এখনও পর্যন্ত তদন্তে কোনও সহযোগিতা করেনি।এদিকে অনেক আগেই তার বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছিল উত্তরপ্রদেশ এটিএস।তাকে নিজেদের হেফাজতে নিতে ২৫শে জুন রাতে জেলায় আসে উত্তরপ্রদেশ এটিএসের একটি দল।পরের দিন এই নিয়ে জেলা আদালতে আবেদন পেশ করেন জেলা সংশোধনাগারের সুপার। সেদিনই হানকে লখনউ নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেন দায়িত্বপ্রাপ্ত মুখ্য দায়রা বিচারক রূপেন্দ্রনাথ বসু। ২জুলাইয়ের মধ্যে তাকে লখনউয়ের বিশেষ আদালতে পেশ করার কথা । আজ রাতে তাকে নিয়ে লখনউয়ের উদ্দেশে রওনা দেয় উত্তরপ্রদেশ এটিএসের দলটি।গতকাল পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া জানিয়েছিলেন,ধৃত চিনা নাগরিককে লখনউ নিয়ে যাওয়ার জন্য পর্যাপ্ত পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়া হবে।সেই অনুযায়ী আজ হানের সঙ্গে ১২ জন সশস্ত্র পুলিশ ও কমব্যাট ফোর্স নিয়োগ করা হয়েছে ।