মলয় দে, নদীয়া :- ভারী বর্ষণের কারণে গত ক’দিন টানা বৃষ্টিপাতের কারণে ভাগীরথীর জল স্তর বাড়ছে ক্রমশ! তার ওপর মাইথন এবং দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে জল ছাড়া হচ্ছে। যদিও সেটা পরোক্ষভাবে জলস্তর বৃদ্ধি করে নদীয়ার ভাগীরথীতে। তবে ফারাক্কার জল ছাড়া সাথে সরাসরি প্রভাবিত হয় নদীয়া বর্ধমান হুগলি সংলগ্ন ভাগিরথি। অন্যদিকে আজ আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা যায় নদিয়ায় বৃষ্টিপাতের গড় দুই মিলিমিটার পর্যন্ত হতে পারে। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত জলস্তর ৭.০৩ মিটার দাঁড়িয়েছে। বিপদসীমার সর্বোচ্চ মাত্রা ৮.৪৪ মিটার। স্বভাবতই পাড়ের মাটি আলগা হচ্ছে ক্রমশ! এর আগে প্রয়োজনের তুলনায় সামান্য বালির বস্তা, জলের তলায় তলিয়ে গেছে অনেকদিন আগেই। এলাকাবাসীর দাবি, বর্ষার আগে যে বালির বস্তা দেওয়া হয়, তা জলের উপরের অংশে দৃশ্যমান হওয়ার কারণে। তাদের অভিজ্ঞতায় জানান বাঁশের খাঁচা ফেলে ত্রিস্তর গম্বুজাকৃতি বালির বস্তা ফেলা ছাড়া জলের তোড় রক্ষা করা সম্ভব নয়! এর আগেও একাধিকবার, এ প্রসঙ্গে ওঠা সত্ত্বেও হেলদোল নেই প্রশাসনের। বরং কাজে গরিমশি দেখে মনে হয়, আন্তরিক ভাবে নয় দায়সারা ভাবে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ স্থগিত করার পদ্ধতি চলছে।
গতকাল রাত থেকে শান্তিপুরের বিস্তীর্ণ এলাকায় ভাগীরথী নদীতে ভাঙ্গন শুরু হয়। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য স্টিমার ঘাট বড়বাজার ঘাট সংলগ্ন বিস্তীর্ণ এলাকা।