ফলহারিণী কালীপুজো ! জানুন কবে এবং কেন শুরু হয় এই পুজো..

Social

মলয় দে, নদীয়া : অনুষ্ঠিত হলো ফলহারিনী কালী পুজোর অনুষ্ঠান । জৈষ্ঠ্য মাসের অমবশ্যা তিথিতে এই কালী পূজো অনুষ্ঠিত হবার রীতি রয়েছে সনাতন ধর্মানুজায়ী । অমাবস্যা তিথি পড়ার সাথে সাথে কোথাও গতকাল রাতে আবার কোথাও আজ সকালে শ্যামা মায়ের মন্দির গুলিতে এই বিশেষ পুজো অনুষ্ঠিত হবার চিত্র ধরা পড়েছে । শান্তিপুরের উল্লেখ যোগ্য বারোয়ারি গুলির মধ্যে শান্তিপুর পাবলিক লাইব্রেরী নিকটস্থ বোম্বাট কালী, শিব ঠাকুরের সিদ্ধেশ্বরী মাতার মন্দিরে গতকাল রাতে আবার কয়েক শতাব্দী প্রাচীন আগমেশ্বরী মাতার মন্দির ও চাঁদুনি মায়ের মন্দিরে আজ সকালে এই পুজো অনুষ্ঠিত হতে প্রত্যক্ষ করা গেছে ।

তবে সাম্প্রতিক করোনা পরিস্থিতিতে এ যেন নিয়ম রক্ষার ফলাহারিণী কালী পুজো । জৈষ্ঠ্য মাসে বিভিন্ন প্রকার ফলের মরশুমে শ্যামা মায়ের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন প্রকার ফল প্রচুর পরিমাণে উৎসর্গ করেন সাধারণ মানুষ তাদের আন্তরিক মনোবাসনা পূর্ণ হবার তাগিদে । এটাই এই পুজোর প্রধান বৈশিষ্ট্য ।

বাঙালি জীবনে ফলহারিণী কালী পুজোর তাৎপর্য লুকিয়ে আছে শ্রী রামকৃষ্ণের জীবনে । তথ্য বলছে রামকৃষ্ণ এই দিনেই তার স্ত্রী সারদা দেবীকে পুজো করেছিলেন জগতের কল্যাণের জন্য । ১২৮০ বঙ্গাব্দে জৈষ্ঠ্য মাসের অমাবস্যা তিথিতে তিনি দক্ষিণেশ্বরে ফল হারিনি কালী পুজোর দিন শ্রী মা সারদা দেবী কে শরশ রুপী পুজো করেছিলেন বলে আজও রামকৃষ্ণ মঠ ও আশ্রমে এই পুজো শরশী পুজো নামে পরিচিত । শ্রী রাম কৃষ্ণ তার মোক্ষ প্রাপ্তির জন্য এই নিয়োমে পুজো করলেও এই দিনে সনাতন ধর্মাবলম্বী মানুষজন নানাবিধ ফলমূল দিয়েই কালী মায়ের আরাধনা করে থাকেন । তবে আম জাম লিচু নানান মরশুমি ফলের , সমাহারে পুজো দেওয়ার রীতি সুফল প্রাপ্তির উদ্দেশ্যে।

Leave a Reply