মলয় দে, নদীয়া :-সমাজ হোক বা শাসন ব্যবস্থা ! শিল্পীরাই একমাত্র তাদের শিল্প কর্মের মধ্যে উপস্থাপিত করে থাকেন, সমস্যার কথা, চেতনা জাগ্রত করে জনমত গড়ে তোলেন সাধারণ মানুষের। তার থেকেই জন্ম নেয় বিপ্লবের, অবশেষে আসে সমাধান। বিদেশে হোক বা দেশে এভাবেই, মানুষের দুঃখ-দুর্দশার পরিত্রান ঘটিয়েছে নাট্য আন্দোলন।
১৯৪২ সালে লেখক শিল্পী সংঘ, ১৯৪৩ সালে গণনাট্য সংঘ সুনীল চ্যাটার্জী দিলীপ রায় বিজন ভট্টাচার্য শম্ভু মিত্র সুজাতা মুখার্জি সহ বৈশিষ্ট্য নাট্য ব্যক্তিত্ব সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছিলেন সমাজের বিভিন্ন বিষয়ে প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে। মাইকেল মধুসূদন দত্তের বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ, দীনবন্ধু মিত্রের নীলদর্পণ, এছাড়াও নবান্ন, যবন নাটক, কুলীন সর্বস্ব, সেসময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় , এবং সাধারণ মানুষের মনের কথা প্রকাশিত নাটক। ডি এল রায় ,রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও নাট্য আন্দোলনের রূপরেখা তৈরি করতেন তাদের লেখনীর মাধ্যমে।
এর পরে অবশ্য কমিউনিস্ট দলগুলির নিয়ন্ত্রণ লক্ষ্য করা যায় তাদের সাংস্কৃতিক বিভাগ হিসেবে।
গতি প্রকৃতি ব্যক্তি আগের মত না থাকলেও আজও বিভিন্ন বিষয়ে, পথনাটিকা , একাঙ্ক নাটক, গান আবৃত্তির মাধ্যমে প্রতিবাদ লক্ষ্য করা যায়। তবে বর্তমান করোনা পরিস্থিতি, এবং গত কাল বিশ্ব পরিবেশ দিবস হিসেবে শান্তিপুর কৃত্তিবাস জনকল্যাণ কেন্দ্রে সম্পূর্ণ নতুন শিক্ষানবিশদের নিয়ে মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে শান্তিপুরের এক নাট্যব্যক্তিত্ব অমলেন্দু ভট্টাচার্য্য , সোমনাথ ভট্টাচার্য্যর “সংকল্প” নামে বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে একটি লেখাকে নাট্যরূপ দান করেছেন নয়জন নবাগত কলাকুশলীদের নিয়ে। সরকারি স্বাস্থ্যবিধি মেনে গতকাল কৃত্তিবাস জন্য রঞ্জন কেন্দ্রে, প্রথমবার মঞ্চস্থ হবার পর দর্শকদের করতালিতে তা সফলতার মান্যতা পায়। সম্প্রতি রেড ভলেন্টিয়ার দের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় স্থানীয় এসএফআই এবং ডিওয়াইএফআই সদস্যদের অক্লান্ত পরিশ্রমে মনোবল বৃদ্ধিকারক হিসেবে এই নাটক দেখার পর, শান্তিপুর সিপিআইএম এরিয়া কমিটি সম্পাদক সৌমেন মাহাতো জানান, কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে যেমন বামপন্থীদের পাওয়া যায়, সেই রকম শিল্পীদেরও।
আগামীতে সামাজিক রাজনৈতিক বিভিন্ন অবঅক্ষয় নিয়ে, এবং ভয়ঙ্কর কোভিদ পরিস্থিতির মধ্যে নিজেকে সাবধানতা সচেতনতা এবং লড়াই করার মানসিক দৃঢ়তা বৃদ্ধি হয় এমন নাটক মঞ্চস্থ করার অনুরোধ রেখেছি।