লোকনাথ পুজোর নতুন মূর্তির অর্ডার খুবই কম চিন্তিত মৃৎশিল্পীরা

Social

মলয় দে, নদীয়া : আগামী কাল ১৯ শে জৈষ্ঠ্য , আর এই বিশেষ তিথিতেই লোকনাথের আরাধনা করেন অনেকেই। যদিও লোকনাথ ভগবান কিনা সেটা নিয়ে বেশ কিছু মানুষের মধ্যে বিতর্ক রয়েছে । অনেকের মতে বাবা লোকনাথ ছিলেন একজন ব্রহ্মচারী অর্থাৎ উচ্চ মানের সাধক । আবার অনেকে লোকনাথ কে শিবাবতার বা দেবাদিদেব মহাদেবের এক বিশেষ রূপ ।

তবে বর্তমান করোনার প্রেক্ষাপটে লোকনাথ পুজোর এমন কিছু আড়ম্ভর নেই ,বিগত বছরের ন্যায় এবছরও নিয়ম রক্ষার লোকনাথ পুজো । প্রত্যেক বছরেই এই পুজো উপলক্ষ্যে লোকনাথের মন্দির গুলি বিশেষ ভোগের আয়োজন থেকে শুরু করে যথেষ্ঠ আরম্বর সহ পুজো পাঠ অনুষ্ঠিত হয় । আবার কিছু বছর ধরে মানুষের বাড়িতেও যথেষ্ঠ ভক্তিভরে লোকনাথের পূজা অর্চনা শুরু হয়েছে । প্রচুর জনসমাগম ঘটে ।

তবে সাধারণ ভাবে পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে এদেশীয় লোকেদের থেকেও ওপার বাংলা থেকে আগত লোকেদের মধ্যে এই পুজোর রেওয়াজ যথেষ্ঠ বেশি ।
সাধারণ ভাবে লোকনাথের শুভ্র বস্ত্র বা গেরুয়া বস্ত্র পরিধানের ধ্যানমগ্ন ছবি বা মাটির প্রতিকৃতি বেশি লক্ষ্য করা যায় । অনেকের বাড়িতে পুরনো লোকনাথ থাকলে সেটা পুজোর আগে আবার রং করিয়ে নেন আবার অনেকে নতুন মাটির লোকনাথ কুমোর বাড়িতে পুজোর আগে অর্ডার দিয়ে বানিয়ে নেন — এমনটাই সচরাচর প্রত্যক্ষ করা গেছে ।
লোকনাথের একটি তাৎপর্য পূর্ণ বাণী — ” রণে বনে জলে জঙ্গলে
যখনই বিপদে পরি বে
আমাকে স্মরণ করি ও
আমি তোমাদের রক্ষা করিব ” ।
এই বিশেষ উক্ত বা বাণী সমাজজীবনে বিশেষ প্রভাব ফেলেছে এবং তার থেকেই অনেকের ভক্তি ভাব বেড়েছে লোকনাথের প্রতি — এমনটাই অনেকের অভিমত ।
তবে ওর প্রায় বেশিরভাগ পুরাতন মূর্তি   রং করতে আসছেন অনেকেই! গত বছরের মত এই বছরেও মূর্তির অর্ডার প্রায় নেই বললেই চলে, এমনটাই জানালেন মৃৎশিল্পীরা নদীয়ার বিভিন্ন প্রান্তের মৃৎশিল্পীরা।

Leave a Reply