সোশ্যাল বার্তা: কথায় বলে কারো পৌষ মাস তো কারো সর্বনাশ, আর ঠিক সেই ছবি এই মুহূর্তে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস এর প্রভাবের পর দেখা গেল পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন এলাকা জুড়ে।
ইয়াস এর কারণে এখন কোলাঘাটের রূপনারায়ণ নদের তীর মনে হবে যেন মেলা বসেছে, কারণ একটাই তাহলো শুধু চিংড়ি কেনার জন্য। পূর্ব মেদিনীপুরের সমুদ্র ও নদীর তীরবর্তী এলাকায় রয়েছে অসংখ্য মাছের ভেড়ি। যেখানে ভেনামি থেকে শুরু করে বাগদা চিংড়ি চাষ করা হয়ে থাকে। কিন্তু এই ইয়াস এর জেরে বহু মাছের ভেড়ি একেবারে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। যার কারণে এই সমস্ত ভেড়ির মাছ নদীতে পাওয়া যাচ্ছে এখন জেলেদের জালে, সেই কারনে এখন প্রতিদিন রুপনারায়ন বা হলদি নদীতে জেলেদের জালে ধরা পড়ছে টন টন চিংড়ি। সেইরকমই কোলাঘাট রূপনারায়ণ নদীতে জেলেদের জালে ধরা পড়ছে টনকে টন চিংড়ি। যা কেনার জন্য ভিড় জমছে প্রতিনিয়ত।নদীর পাড়ে এলে মনে হবে দূর থেকে মনে হবে যেন মেলা বসেছে এলাকায়।
কোলাঘাটের বিদ্যাসাগর মোড় থেকে দেনান বাজার পর্যন্ত এরকমই ছবি দেখা মিলছে বেশ কয়েকদিন ধরেই। বলা যেতে পারে সাধারণ মাছ প্রিয় বাঙালির কাছে এখন চওড়া হাসি।কারন মাছ প্রিয় বাঙালীরা অন্যান্য সময় বাগদা বা ভেনামী চিংড়ি বাজারে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা কিলো দরে কিনতেন,তবে এই সময়ে রূপনারায়নে প্রচুর পরিমানে চিংড়ি মেলায় বিক্রি হচ্ছে মাত্র ১২০ থেকে ২০০ র মধ্যে।তাই এই চিংড়ি কেনার আশায় ভিড় জমাচ্ছেন অসংখ্য মানুষ।
তবে সমস্যাটা হল একটাই বর্তমান লকডাউন সময়ে সম্পূর্ণ নিয়ম বিধি না মেনেই ভিড় জমাচ্ছেন চিংড়ি কেনার জন্য অসংখ্য মানুষ।করোনার প্রকোপ রয়েছে সর্বত্র, তাই রাজ্য জুড়ে চলছে লকডাউন ।কিন্তু সাধারন মানুষ তা ভুলে গিয়ে চিংড়ি কেনার আশায় নিয়মবিধি না মেনেই ভিড় জমাচ্ছেন কোলাঘাট এলাকার বিদ্যাসাগর মোড় থেকে দেনান বাজার পর্যন্ত। তবে শেষমেশ কোলাঘাট বিট হাউস থানার পুলিশকে রীতিমতো লাঠি হাতে বের হতে হচ্ছে প্রতি মুহূর্তে। নদীর পারে তাদেরকে রীতিমতো লাঠি উঁচিয়ে এলাকা ফাঁকা করতে হচ্ছে।কারন করোনা প্রকোপের কথা মাথায় রেখে এখন কোলাঘাট বীট হাউস থানার পুলিশ রীতিমতো ব্যস্ত মাছ কেনার ভিড় সামাল দিতে। পুলিশের পক্ষ থেকে আজও সকালে একই ভাবে ভিড় সামাল দিতে দেখা গেল দেনান বাজারে।