মলয় দে, নদীয়া:- পারস্পরিক দূরত্ব বজায় না রেখে, মুখে মাস্ক না দিয়েই উৎসবের খুশিতে মিলেছেন দুটি পরিবারের সাড়ে চার জন! প্রথম পরিবারের প্রধানের নাম মধ্যমা তার স্ত্রী তর্জনী, দ্বিতীয় পরিবার প্রধান অনামিকা স্ত্রীর নাম কনিষ্ঠা , অবশ্য তাদের কোলে ছোট্ট একটি পুত্র সন্তান যার নাম গনেশ।
স্বাস্থ্য বিধি লঙ্ঘনের জন্য তাদের বিরুদ্ধে অবশ্য আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আর হবেই বা কেন! তারা কেউই মানুষ নন, মানুষের অবয়ব ফুটে উঠেছে আঙুলে।
গতকাল ছিলো শুভ অক্ষয় তৃতীয়া এবং পবিত্র ঈদ দুই পরিবারের মধ্যে উৎসবের মেলবন্ধন।
নদীয়া জেলার শান্তিপুরের সদ্য স্নাতক হওয়া নিত্য শিল্পী দেবপ্রিয়া দালালের মনে হয়েছে, আঙ্গুলের আকৃতি উচ্চতা যাই হোক প্রত্যেকের গুরুত্ব সমান, এবং তাদের মধ্যে মিলও অদ্ভুত , একজনকে বাদ দিয়ে অন্য জনকে নড়াচড়া করানো প্রায় অসম্ভব। আবার একজনকে আঘাত করলে লাগে অন্যজনেরও! আর সেটাই তো স্বাভাবিক কারণ তারা একই হাতের পাঁচটা আঙ্গুল। ঠিক আমাদের ভারতবর্ষের মতন।
রবীন্দ্রনাথের কথায় বিবিধের মাঝে মিলন মহান। খুব স্বাভাবিক অথচ অসামান্য চিন্তাভাবনায় সুদক্ষ শিল্প নৈপুণ্যতায় অভিনব সম্প্রীতির বার্তা দেওয়া দেবপ্রিয়া জানায়, বর্তমান পরিস্থিতিতে শারীরিক দূরত্বটা প্রয়োজন মনের নয়, তাই প্রতিটি আঙুলের মধ্যেই ফাঁক রয়েছে! তবে মাস্ক ব্যবহার করা হয়নি অত্যন্ত ছোট ছবির মধ্যে দিয়ে অবয়ব বোঝানোর অসুবিধার কারণে। তবে এটা করতে গিয়ে অদ্ভুত ভাবে লক্ষ্য করলাম, পুতুলনাচের মতো প্রতিটা আঙ্গুলের পৃথক সঞ্চালনা জন্য যথেষ্ট অনুশীলন দরকার। তবে আগামী দিন সঙ্গীত বা মিউজিকের তালে নৃতরত অবয়বের মাধ্যমে কোন বার্তা দেওয়া যায় কিনা সে বিষয়ে কিছু করার আগ্রহ জন্মেছে।