মলয় দে, নদীয়া:- ধর্মীয় পিঠস্থান নদীয়ার শান্তিপুরে দৈব সম্পত্তি, মূল্যবান কষ্টিপাথর ও বিভিন্ন ধাতব মূর্তি, স্বর্ণ ও রৌপ্যর বিভিন্ন অলংকার এমনকি মূল্যবান বাসনপত্রও চুরি যাওয়ার ঘটনা নিত্যনৈমিত্তিক হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতি বছরের মধ্যে প্রায় দশ ,পনেরোটি ঘটনা ঘটতেই আছে এ ধরনের! ধর্মপ্রাণ মানুষের আক্ষেপ, প্রশাসনিক হস্তক্ষেপে তার একটিও পুনরুদ্ধার সম্ভব হয়নি। এমনকি ঐতিহ্যপূর্ণ বহু প্রাচীন বহুমূল্যের অলংকার ব্যাংকে রাখা থাকলেও, নিত্যনৈমিত্তিক কিছু অলংকার বাসন, মুকুট গলার হার কপালের টিপ এ ধরনের কিছু সাধারন বিষয় প্রয়োজনে থাকে মন্দির এর মধ্যেই।শহরের এক নম্বর ওয়ার্ডের পাবনা কলোনি এলাকায় এলাকার অত্যন্ত আবেগপূর্ণ শনি মন্দিরে হওয়া যায় লক্ষাধিক টাকার গয়না।
স্থানীয়রা জানান আজ সকালে সাতটা নাগাদ একটি তালা চেন সহ নিয়ে গেছে দুষ্কৃতীরা।শনি মন্দিরের ঠাকুরের গলার হার, বাজু, টিকলি, কপালের টিপ এ ধরনের বিভিন্ন সোনা এবং রুপোর অর্থ মূল্য আনুমানিক প্রায় লক্ষাধিক টাকার উপর।ওই এলাকারই পাশে রামকৃষ্ণ কলোনির মন্দিরেও দুষ্কৃতীরা দরজা ভাঙতে চেষ্টা করেছিল বলেই জানা গেছে আজ সকালে তবে সে ক্ষেত্রে ঠাকুরের গহনা খোলা ছিল বলে ক্ষতি হয়নি কিছু, গতকাল রাতেই পাবনা কল্যানীর অন্তর্গত একটি বাড়িতেও দুষ্কৃতীরা তাণ্ডব চালিয়েছে বলেই শান্তিপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন এলাকাবাসী। তাদের মতে জুয়ো সাট্টা এবং নিয়মিত মদের আসর বসার কারণে এ ধরনের ঘটনা ঘটছে! মূলত প্রশাসনিক উদাসীনতায় উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে বিভিন্ন অসামাজিক কাজকর্ম। যার ফলে এ ধরণের দুষ্কর্ম করতে সাহস পাচ্ছে দুষ্কৃতীরা।ঘটনাস্থল সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে শান্তিপুর থানার পুলিশ প্রশাসন আসলেও এখনো পর্যন্ত কোনো গ্রেপ্তারের খবর পাওয়া যায়নি।