মলয় দে, নদীয়া :- কর্মব্যস্ত জীবনের মাঝে করোনা অনেক কিছু কেড়ে নিলেও, শিখিয়েছিলো পারিবারিক, সামাজিক বিভিন্ন অনুভূতি কর্তব্যও দায়-দায়িত্ব! পরিবারকে ভালো রাখার অসম ইঁদুর দৌড় প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হয়েছি আমরা! দীর্ঘদিন গৃহবন্দিত্ব থেকে, চিন্তা চেতনা জাগ্রত হয়েছিল আমাদের! পরিবারের গণ্ডি ছাড়িয়ে, পারিপার্শ্বিক পরিবেশের অন্য সদস্যরাও যে এ পৃথিবীতে বসবাসের অধিকারী, তা মনে হয় ভাবার সময় পেয়েছিলাম ওই সময়! সে সময় এইরকম বেশ কিছু অনুভূতি এবং তার সফল বাস্তবায়ন উঠে এসেছিলো সংবাদমাধ্যমে।
নদীয়ার কৃষ্ণনগরে আজ থেকে চার মাস আগে সুদীপ ভট্টাচার্য, সুমন সেন এবং বাপি ভট্টাচার্য্যর সহ অন্যান্যদের প্রচেষ্টায় কৃষ্ণনগর ফোয়ারার মোড়ের কফি হাউসে রাখা হয়েছিল অর্থ সংগ্রহের একটি বাক্স! যাতে লেখা ছিলো, “বাড়িয়ে দাও তোমার হাত” এবং একটি সারমেয়র মায়াবী মুখ! যার গলায় একটি পোস্টার ঝোলানো “হেল্প মি”।
সমাজের সকল স্তরের মানুষ দিনের কোন এক সময় বা সন্ধ্যায় মানসিক চাপ কমাতে একা বা তার প্রিয় বন্ধুকে নিয়ে আসেন একটু নিরিবিলিতে এক কাপ কফির সন্ধানে বা বিভিন্ন ধরনের টিফিন খেতে ! কফির দাম মেটাতে গেলেই, সকলের চোখে পড়ে ওই বাক্সের সারমেয়র করুন মুখটি ! দু একজনের কঠিন হৃদয়ে করুণ আর্তনাদ আঘাত না করলেও, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অপর এক বন্ধু মনে করেই সাধ্যমত সহযোগিতা করেছেন বেশিরভাগ মানুষ!
গতকাল এইরকমই বিভিন্ন হৃদয়বানের ভালোবাসারদান একত্রিত করে, অর্থে রূপান্তরিত হয়েছে ৪২৮০ টাকায়। যা ব্যবহৃত হবে, পথে জন্ম পথেই মৃত্যু সারমেয়দের আহার বা চিকিৎসার ক্ষেত্রে! এমনটাই জানা যায় উদ্যোগীদের কাছ থেকে। এই বার্তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে, মুখে মুখে, সোশ্যাল মিডিয়ায় সর্বোত্র। তবে ওই সংগ্রহ পাত্রটি পুনরায় বহাল থাকবে, আগামীর জন্য।
উদ্যোগীরা জানান, নিজেরা একটু কম ভালো থাকলে হয়তো আরো অনেক বেশি মানুষকে ভালো রাখা যায়! এ পৃথিবীতে বাঁচার অধিকার সমান ভাবে.. সকল জীবের।