নিউজ সোশ্যাল বার্তা, ৭ই নভেম্বর ২০১৯: গত ৩,৪ ও ৫ ই নভেম্বর কলকাতার শহীদ মিনারের পাদদেশে সদ্য শেষ হয়েছে বৃহত্তর গ্র্যাজুয়েট টিচারস এসোসিয়েশান এর গ্র্যাজুয়েট ক্যাটেগরি টিচারদের জন্য টিজিটি’র দাবীতে ধর্ণা ও বিক্ষোভ কর্মসুচী। আর আজ ৭ ই নভেম্বর মুর্শিদাবাদ জেলায় বিজিটিএ’র তরফে টিজিটি চালু ও ওয়েব বেসড স্টাফ প্যাটার্ন বাতিলের দাবীতে বিক্ষোভ কর্মসুচী ও ডি আই ডেপুটেশনের ডাক দেওয়া হয়। মুর্শিদাবাদ জেলা ডি আই অফিসের থেকে ঢিল ছোড়া দুরত্বে বিজিটিএ মুর্শিদাবাদ জেলা কমিটি এক বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেয়। মুর্শিদাবাদ বিজিটিএ জেলা কমিটির তরফে দাবী করা হয়েছে যে এই সমাবেশে মুর্শিদাবাদ জেলার প্রত্যন্ত এলাকাগুলি থেকে শ’য়ে শ’য়ে গ্র্যাজুয়েট টিচার রা এই সমাবেশে যোগ দিয়েছেন। সমাবেশে টিজিটি ও ক্যাস ফেসিলিটি’র উপর জোর দেওয়া হয়। সমাবেশ শেষে শুরু হয় মিছিল, অভিমুখ ছিল ডি আই অফিস। বিজিটিএ’ মুর্শিদাবাদ শাখার দাবী প্রায় এক হাজার গ্র্যাজুয়েট টিচার মিছিলে হেঁটেছেন। মিছিল করে মুর্শিদাবাদ জেলা ডি আই কে ডেপুটেশন দেওয়া হয়।
মুর্শিদাবাদ জেলা বিজিটিএ দুই শীর্ষ নেতৃত্ব মিঃ নিলাদ্রি শেখর সমাদ্দার ও মহম্মদ সাবির আলি এক যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছেন, “আমরা যে স্কেল (৯৩০০–৪০৫০০ গ্রেড পে ৪৬০০, পে প্রোটেকশন – বর্তমান বেসিক ×১.১৮ ×২.৫৭) দাবী করছি তা মোটেই মাইনে বাড়ানোর উদ্দেশ্যে নয়! এটি আমাদের অধিকার। এটি প্রকৃতপক্ষে ট্রেন্ড গ্র্যাজুয়েট টিচারস স্কেল। আর মহামান্য হাইকোর্ট ও আমাদের এই অধিকার কে মর্যাদা দিয়ে রীট অফ ম্যান্ডামাস জারী করেছেন। কিন্তু সরকার সেই রায় না মেনে যে পে কমিশন ঘোষণা করেছেন তাতে গ্র্যাজুয়েট টিচারদের কোন প্রভিশন নেই। উল্টে এই পে কমিশনে পিজিটি ও টিজিটি টিচারদের মুল বেতনের পার্থক্য ৩২০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ৯২০০ টাকা, যা হওয়া উচিৎ ছিল ২৭০০ টাকা।” মিঃ সমাদ্দার ও মিঃ আলি আরো বলেন, “আমরা মুখ্যমন্ত্রী’র হস্তক্ষেপ দাবী করে ধর্ণা মঞ্চ থেকে নবান্নে আমাদের দাবীপত্র জমা দিয়ে এসেছি। যদি মুখ্যমন্ত্রী কোন ইতিবাচক পদক্ষেপ না নেন তো আমরা স্কুলের পরীক্ষা পর্ব মিটলেই আবার গন আন্দোলন শুরু করব। আমরা কারুর বিরোধী নই না সরকারের না কোন প্রতিষ্ঠানের। আমরা শুধু চাই আমাদের দাবী পুরন হোক। আর তার জন্য আমরা যে কোন পদক্ষেপ নিতে তৈরী। ”
Facebook Page: News Social Barta24x7