মলয় দে, নদীয়া: রবিবার দুপুর দুটো নাগাদ নদীয়ার শান্তিপুর ঘোড়ালিয়া বাইপাস মোড়ে, মুর্শিদাবাদ গামী একটি খালি লরি এসে দাঁড়ায়। ৩৫ বছর বয়স্ক চালক আফাজুল হক গাড়ির নিচে ঢুকে টায়ারের কাজে থাকা পাথর বের করেছিলেন, চালক আসনে তখন খালাসী!
এইরকম অধিকাংশ গাড়ি ক্ষেত্রেই হয়ে থাকে তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই খালাসীকে এধরনের কাজ করতে দেখা যায়। আজ ছিলো সম্পূর্ণ উল্টো চিত্র। এলাকার কিছু লোক জানান হয়তো সামান্য এই কাজ টুকুর জন্য আর খালাসিকে বলেনি চালক অথবা চালকের হাতে স্টিয়ারিং দিয়ে শেখাচ্ছিলেন এগানো পেছানোর নিয়ম।
দূর্ঘটনাবশত হোক বা ইচ্ছাকৃত হঠাৎই বেশ খানিকটা গড়িয়ে যায় চাকা! রক্তাক্ত চালক ওই স্থানেই চাকায় পিষ্ট হয়ে মারা যান। খালাসী তাৎক্ষণিক পলাতক হয় ওই স্থান থেকে। এলাকাবাসী ছুটে গেলে ও তাকে ধরা সম্ভব হয়নি বলেই জানান এলাকার মানুষ।
ঘটনাস্থলে পুলিশ প্রশাসন এসে গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করেন এবং মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠাতে উদ্যত হন। তার পকেট থেকে প্রাপ্ত আধার কার্ড অনুযায়ী জানা যায় মুর্শিদাবাদের ছাতিয়ানী দাদপুরের আব্দুস সালাম শেখের পুত্র আফাজুল হকের মৃতদেহ বলেই আপাতত অনুমান করছেন প্রশাসন। তবে বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।