মলয় দে নদীয়া:- শাস্ত্র মতে কন্যাহীনা পিতা তুলসী বিবাহ করিয়ে কন্যাদান এর পূণ্যলাভ করতে পারেন। ভাদ্র মাসের শুক্লপক্ষের শয়নী একাদশীতিথিতে শ্রীবিষ্ণু নিদ্রা যান। এবং তার তিন মাস পর অগ্রহায়নের এই তিথিতে, জাগ্রত হয়ে শ্রীবিষ্ণু বিবাহ করেন তুলসীর সাথে। সেই কারণেই দীর্ঘ তিন মাস বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারি না আমরা। গত ২৬ শে নভেম্বর তুলসী বিবাহ’র পর থেকে পুনরায় অগ্রহণ মাসে বিবাহের সকল আয়োজন করা হয়। এই উপলক্ষে রাজ্য ভেবে নানান পূজা পদ্ধতিতে ভক্তবৃন্দরা বিভিন্ন আয়োজন করে থাকেন। যার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ গুজরাট এবং মহারাষ্ট্রে খুব বেশি লক্ষ্য করা যায়। গুজরাটের গিরনা পর্বতের চারিপাশে প্রায় ৩২ কিলোমিটার পথ লক্ষ লক্ষ ভক্ত বৃন্দকে পদব্রজে প্রদক্ষিণ করতে দেখা যায়। মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন মন্দিরে এই উপলক্ষে ভক্তের সমাগম লক্ষ্য করা যায়। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন মঠ মন্দিরে এই উপাচার লক্ষ্য করা যায়। নদীয়ার শান্তিপুর বাইগাছি পাড়া রাধাগোবিন্দ মন্দিরের শচীনন্দ মহারাজের আয়োজনে এইরকমই এক শুভক্ষণে সাক্ষী থাকলাম আমরা।