মলয় দে নদীয়া: নদীয়ার শান্তিপুর সুত্রাগড় অঞ্চলে প্রায় চল্লিশটি বারোয়ারি ক্লাব এবং বাড়ির জগদ্ধাত্রী পূজা হয়। এই উপলক্ষে প্রতিবছর শোভাযাত্রা শেষ করতে ভোর হয়ে যায়। অবশ্যই এর পেছনে শোভাযাত্রার পথ সরু গলি এবং ঠাকুর লাইটের গেট বিভিন্ন ট্যাবলোর আকৃতির জন্য অনেকটাই বিলম্বিত হয় সময়। এবছর করোনা আবহে দুর্গা প্রতিমা নিরঞ্জনে বিসর্জনের ঘাট চেহারা নিয়েছিল বড়োসড়ো একটি রাজনৈতিক সভার মতো।
অন্যদিকে কালি পুজোতে বাঁধভাঙ্গা জনপ্লাবন আছড়ে পড়েছিল শান্তিপুরের রাজপথে। হয়তো সেখান থেকেই শিক্ষা নিয়ে বিভিন্ন পূজা উদ্যোগীদের নিয়ে পরপর তিনটি প্রশাসনিক বৈঠকের পর গতকালকের বিসর্জন ঘাট ছিল দর্শকশূন্য। রাস্তায় ভক্তবৃন্দদের আগ্রহ সহকারে অপেক্ষারত দেখা গেলেও, জেলা পুলিশ সুপার ভি এস আর অনন্তনাগ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রূপান্তর সেনগুপ্ত, এসডিপিও প্রবীর মন্ডল, সি আই জয়ন্ত লোধ , শান্তিপুর থানার ওসি সুমন দাসের সর্বক্ষণের উপস্থিতি বিচক্ষণতা এবং তৎপরতায় গত কালকের বিসর্জন অনুষ্ঠান সাধারণ মানুষ এবং পুজো উদ্যোগীদের বক্তব্যে সফল হয়েছে বলেই জানা গেছে।
এ বিষয়ে অবশ্য স্থানীয় বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য এবং পৌর প্রশাসক অজয় দে বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই নানান পরিষেবা এবং পরিকল্পনার মধ্যে দিয়ে অনেকটাই সহযোগিতা করেছেন বলে জানা গেছে। বিকাল থেকে বিসর্জনের কাজ শুরু হলেও সন্ধ্যে সাতটা থেকে রাত বারোটা পর্যন্ত প্রতিমা নিরঞ্জনের জন্য কিছুক্ষণের জন্য বিসর্জন ঘাটে লাইনে দাঁড়াতে হয়। রাত একটার মধ্যে সমস্ত নিরঞ্জন সম্ভব হয়,উল্লেখ্য গত বছর সকাল ছয়টা পর্যন্ত চলেছিল এই বিসর্জন পর্যায়। সমগ্র প্রতিমা নিরঞ্জন পথটি শান্তিপুর থানার ছয়জন সাব ইন্সপেক্টর নিজেদের মধ্যে দায়িত্ব ভাগ করে নিয়েছিলেন। উচ্চপর্যায়ের প্রশাসন ছিলেন সমস্ত বিষয়টি নজরদারিতে।