ঢাকের চাহিদা কম, গত বছরের তুলনায় কম পারিশ্রমিকেই ভাড়া ধরতে বাধ্য হচ্ছেন ঢাকিরা

Social

মলয় দে, নদীয়া : দুর্গাপুজোর প্রথম কাঠি পড়েছিলো ঢাকে। সারাবছর বাঁশের তৈরি ঝুড়ি, ঝাঁকা চুবড়ি মাছধরা বৃত্তি, পোলো, নানান কিছু বানিয়ে কোনরকমে সংসার চালিয়ে অপেক্ষায় থাকেন দুর্গাপুজো থেকে রাস পর্যন্ত। স্বল্প উপার্জনে সংসারের অনেক গুরুত্বপূর্ণ বড় খরচের জোগান আসে মূলত এই সময়ে ঢাক বাজিয়ে। কিন্তু এবছর করোনা আবহে, দুর্গাপূজার ক্ষেত্রে ভিন জেলা থেকে আসার যাতায়াত খরচের কারণে পড়তা করতে পারেননি অনেকেই । কালি পুজোতে ট্রেন-বাস দুটি যোগাযোগ ব্যবস্থা থাকলেও, ঢাকির সংখ্যা কমিয়েছেন বহু ক্লাব,বারোয়ারি, কালী পূজা কমিটি। অন্যান্য বছরে ঢাকি পাওয়ার জন্য ভোরেই হাজির থাকতেন পুজো কমিটি উদ্যোক্তারা। এবার কৃষ্ণনগর পোস্ট অফিস মোড়  হোক বা শান্তিপুর রথতলা,রানাঘাটে সর্বত্র বেলা গড়িয়ে দুপুর হলেও মেলেনি অনেকের ভাড়া। তাই অনেকেই বাধ্য হয়ে কম পারিশ্রমিক এ রাজি হয়েছেন ঢাক বাজাতে। পলাশীপাড়া, তেহট্ট , নাকাশিপাড়া, রানাঘাট ,নওদার নানা প্রান্তের ঢাকিরা তাই বিষন্ন! তবুও আশায় আছেন অনেকেই হয়তো ভাড়া হবে।

Leave a Reply