মলয় যে, নদীয়া:- “কুসন্তান যদিও হয় কুমাতা কখনোই নয়” বহু প্রাচীন এই প্রবাদ বোধহয় সর্বকালে প্রযোজ্য। নদীয়ার শান্তিপুর শহরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের জ্যাঠা গোপীনাথ লেনে ৮০ বছর বয়স্ক গুল মোহাম্মদ শেখ স্ত্রী নুরজাহান বিবি ছোট্ট দেড় কাঠা জমিতে বাস করেন ৩ ছেলে বৌমা ও নাতিপুতিদের নিয়ে।
পেশায় তাঁত শ্রমিক মেয়ের বিয়ে দেওয়ার পর তিন ছেলেকে ওই একফালি জমিতেই তিনটি আলাদা আলাদা ঘর করে দিয়েছেন। বড় ছেলে আব্দুল হালিম তিন সন্তানের জনক, মেজো জন রফিক সেও তিন সন্তানের পিতা, ছোট ছেলে সেলিম শেখের ৫টি সন্তান । অন্য দুই ভাইয়ের একটি ঘরে পরিবার নিয়ে মানিয়ে নিতে পারলেও, ছোট ভাই সেলিম ৫ সন্তানকে নিয়ে একটি ঘরে বসবাসের হয়ে উঠেছে অধৈর্য। তাই মাঝে মাঝেই চলে পারিবারিক বাকবিতণ্ডা অশান্তি গন্ডগোল! এর আগেও বহুবার এরকম হয়েছে তবে তা থানা পর্যন্ত পৌছাতে দেননি পরিবারের অন্য সদস্যরা। কিন্তু এবার?
গতকাল দুপুরে আবারও শুরু হয় একই বিষয়ে অশান্তি, সেলিমের অন্যায় আবদার অনুযায়ী পুরো বাড়ি তাকে লিখে দিতে হবে বাবা-মায়ের। মায়ের সুতো পাকানো চরকা, বৌদিদের ভাতের হাড়ি সবকিছু ভেঙে তছনছ করার পর বাবাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়ে মাকে বাঁশের বাড়ি মারতে উদ্যত হয়। মাথায় না পড়ে পাঁচিলের ইঁটে বেঁধে বাঁশের বাড়ি খানিকটা পড়ে মায়ের মুখে। থুতনির ওই অংশ কেটে রক্তারক্তি বাবা শুয়ে কাতরাচ্ছে! পলাতক ছেলে!
এলাকাবাসীর তৎপরতায় শান্তিপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ওই বৃদ্ধ দম্পতিকে। সেখান থেকে চিকিৎসার পর শান্তিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন মা-বাবা। প্রশাসনিক সূত্রে জানা যায় বিষয়টি আইনের হেফাজতে দিয়েছেন তারা। মা-বাবার অভিমানও হয়তো খানিকটা ম্লান হয়েছে! তাই তাকে ত্যাজ্যপুত্র করার সিদ্ধান্ততে রাজি থাকলেও ছেলে জেল খাটুক এটা চান না তারা। হাজার হলেও সন্তান তো !