বাঁচার তাগিদে লড়াই ১৩ বছরে বালকের, পেপসি, আইসক্রিম বিক্রি সঙ্গে চলছে পড়াশোনা

Social

দেবু সিংহ ,মালদাঃ-লড়াই করে বেঁচে থাকার নামই জীবন। বেঁচে থাকার জন্য  একটা সহজ জীবন নয়, বড় সংগ্রামের সাথে লড়াই করেই দিন কাটছে এক বালকের ।

মালদা জেলার বৈষ্ণবনগর থানার শুক পাড়া এলাকায় বাড়ি নাম দীপঙ্কর সাহা(১৩) ষষ্ঠম শ্রেনীর ছাত্র। বাবা সঞ্জয় সাহা(৫০) পরিবারে রয়েছেন বাবা- মা সহ তিন ভাই দীপঙ্কর বাড়ির বড় ছেলে। বাড়ি বলতে একটি মাত্র ঘর সেই ঘরে তার অসুস্থ বাবা ও মা ভাই সকলে মিলে এক সাথে থাকে নেই কোন জমি-জামা। বাবা অসুস্থ কথা বলতে পারেন না,বিছানা পরে রয়েছে। দীপঙ্করে মায়ের ছোট ছোট বাচ্চাদের নিয়ে সংসার চালাতে অচল অবস্থা। দীপঙ্করে বাবা-মা আর তারা দুই ভাই। মাথা গোঁজার ঠাঁই বলতে রেয়েছে ছোট্ট একখানা ঘর। আর পুরো সংসারের দায় ভার মায়ের কষ্ট দেখে ছোট্ট দীপঙ্কর সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে পড়েছে ফেরীর কাজে।

অর্থের অভাবে আর বাবা অসুস্থ,দুই ভাই ছোট । দুঃস্থ, অসহায় পরিবারটির একমাত্র অবলম্বন দীপঙ্কর। তাই জীবন যুদ্ধে একাই লড়াই করে চলেছে। পরিবারের মুখে দু’বেলা দু’মুঠো অন্ন তুলে দিতে জীবনপন্য লড়াই করে চলেছে ছোট্ট ছেলেটি। সম্বল বলতে ওই এক বাবার সাইকেল। তার উপর ভর করেই সকাল-সকাল বেরিয়ে যায় পেপসি, আইসক্রিম বিক্রি করতে। ছুটে বেড়ায় এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রাম ।যৎসামান্য যা উপার্জন হয়, তা দিয়েই সংসার বহন করে নিয়ে চলেছে দীপঙ্কর। বিশ্রাম বলতে বাড়ি ফিরে পড়াশোনার করার পরে রাতে ঘুম। কর্ম জীবনের সাথে পড়াশোনা চালিয়ে যাছে ছোট্ট দীপঙ্কর এখন বর্তমানে জয়েন পুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠম শ্রেনীর ছাত্র পড়াশোনা বেশ মেধাবী নিজের মেধাবী তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে।এই বয়সে সংসার সাথে পড়াশোনাতেও থেমে নেই দীপঙ্কর হাসি মুখে বেশ পড়াশোনা দিব্যি চালিয়ে যাচ্ছে।তার সঙ্গী সাইকেলে আইসক্রিম নিয়ে ভোর বেলা ঘুম থেকে উঠে ছুটে যায় আইসক্রিম নিতে।

সেই সকাল থেকে শুরু হয় সংসার চালানো লড়াই শুরু হয় আইসক্রিম বিক্রি  এতো কষ্টের পর ও বিদ্যাল়য়ে ষষ্ঠ শ্রেণীতে তৃতীয় স্থান অধিকার করে পড়াশোনা চালিয়ে বড় হবার ইচ্ছে দীপঙ্কর এর।এই লকডাউনে বেশ সমস্যায় পড়তে হছে ছোট্ট দীপঙ্করকে। এই লক ডাউন পরিস্থিতিতে জানার পরেই দীপঙ্করের পাশে দাঁড়িয়েছেন তার স্কুলের শিক্ষক যুবরাজ ত্রিবেদী,সহ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্য জয়দেব মণ্ডল ও আব্দুল্লাহ, সুবীর সাহা। কয়েকজন তাদের কিছু চাল ডাল পৌঁছেদিয়েছেন।

বাড়িতে নেই ইলেক্ট্রিক সহ ফোন। জানতে পারছেনা পড়াশোনা নিয়ে অনলাইন ক্লাস কি হছে!জানে না পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক ভাবে ফিরবে।এখন তার লক্ষ পড়াশোনা করে নিজের পায়ে দাঁড়াতে। তার পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতে।তার বেসরকারি স্কুলে শিক্ষক বলেন তার আমাদের স্কুলে থাকাকালীন  দীপঙ্করে কাছে কোন অর্থ নেওয়া হতো না সে খুব মেধাবী ছাত্র চতুর্থ শ্রেনী পর্যন্ত তাদের স্কুল থেকে দীপঙ্কর পড়াশোনা করেছে এখন জয়েন পুর উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশোনার করছে । দীপঙ্কর বলে তার পড়ার খুব ইচ্ছে পড়াশোনা করে বড় হতে চাই পড়াশোনা ফাঁকে পেপসি ও আইসক্রিম বিক্রি করি ।

Leave a Reply