সুমন্ত অধিকারী : একদিনের জন্য একটু প্রাকৃতিক পরিবেশে ঘুরে আসতে চাইলে অবশ্যই চলে যেতে পারেন নদীয়া জেলার ভীমপুর থানা এলাকার মধ্যে অবস্থিত বাগবেড়িয়া গ্ৰাম পঞ্চায়েত এলাকায়।
• চাপড়া ব্লকের মধ্যে পড়ে এই পঞ্চায়েত । পলদা নামক এক অনামি নদী ঘিরে রেখেছে এই পঞ্চায়েতকে ,স্থানীয় বাসিন্দারা পলদা বিল বললেও আসলে পলদা হলো একটি গতি থেমে যাওয়া নদী। ১৭৭৩১ জন জনঘনত্বের পঞ্চায়েত এলাকা বাগবেড়িয়া। পূর্ব দিকে আমঝুপি গ্ৰাম আর গ্ৰামের শেষে পাগলাখালী মন্দির যেখানে প্রতি সোমবার ও বৃহ:স্পতিবার মেলা বসে। সকাল বেলায় বহুদূর থেকে লোক আসে গাড়ি করে, সারাদিন ধরে চলে রান্না খাওয়া-দাওয়া, পুজো, মেলা দেখা। আপনি যদি চান তো কোন অনুমতির দরকার নেই যেকোন দলের সাথে বসে পেট ভরে খেয়ে নিতে পারবেন দুপুরের খাবার। বিভিন্ন দল আসে রান্না করে খাওয়া-দাওয়া করে তবে দলের লোক না হলেও কোন অসুবিধা নেই খেয়ে নিতে পারেন খিচুড়ি, ভাত, সবজি, পায়েস, আবার চাইলে ২ কেজি চাল কিনে রাধুনিকে দিতে পারেন আপনাদের জন্য রান্না করে দেবেন তারা।
• পাগলাখালী মন্দির আসলে শিবের মন্দির, পাগলা বাবা নামেই চেনে সবাই। পলদা নদীর পাশেই পাগলা বাবা অবস্থান করেন বটবৃক্ষের তলায়। পশ্চিমদিকে গাঁটরা গ্ৰাম পূর্ব নাম গান্ডীবনগর। এই গাঁটরার পুরোনো ইতিহাস আছে যা লিখিত আকারে পাওয়া যাবে না বললেই চলে। একদা বৈষ্ণব ধর্মের প্রধান প্রচারক নিত্যানন্দের শশুরবাড়ী ছিল গাঁটরা । এখনও সেখানে নিত্যানন্দ, বসুধা, জাহ্নবী দেব-দেবী রুপে পুজিত হন।
• ময়দানপুরের কালিবাড়ি বেশ প্রসিদ্ধ। রাতের বেলায় পলদাতে নৌকা ভাসিয়ে জেলেদের মাছ ধরার দৃশ্য আপনাকে মুগ্ধ করবেই, চাইলে নদীর থেকে মাছ ধরে ওখানে বসেই ভেজে খেয়ে আসতে পারেন তবে সেটা যদি পরিচিত কেউ থাকে তবেই সম্ভব কেননা মাছ ধরে ভেজে খাওয়ার ব্যবস্থা নেই।
একদিনের জন্য ইতিহাসের ছোয়া পেতে, প্রকৃতির স্বাদ নিতে যেতেই পারেন বাগবেড়িয়া।
• থাকার স্থান : থাকার জায়গা নেই কাছাকাছি, তবে আসাননগরে একটা লজ আছে আগে থেকে যোগাযোগ করলে থাকার ব্যবস্থা হয়ে যাবে। অথবা কৃষ্ণনগর বা মাজদিয়া।
• কিভানে যাবেন: শিয়ালদহ থেকে গেদে লাইনে মাজদিয়া নামতে হবে আসাননগর বা শিয়ালদহ থেকে কৃষ্ণনগর হয়ে বাসে আসাননগর ।