মলয় দে নদীয়া :-দীর্ঘদিন ধরেই গঙ্গা ভাঙ্গন অব্যাহত। বর্ষা এলেই প্রায় তলিয়ে যায় বিঘা বিঘা চাষের জমি সহ বাড়িঘর। অস্থায়ী ভাবে কাজ হয় বটে কিন্তু তাও আবার তলিয়ে যায় গঙ্গাবক্ষে। এবার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এলেন নদীয়া জেলার জেলাশাসক বিভূ গোয়েল। স্থানীয় বাসিন্দাদের স্থায়ীভাবে বাঁধানোর আশ্বাস দিলেন তিনি।
সূত্রের খবর, নদীয়া শান্তিপুর থানার হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের চৌধুরীপাড়া বেলঘড়িয়া ১ এবং ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের একাধিক এলাকার প্রতিবছর বিঘা বিঘা জমি তলিয়ে যাই গঙ্গাবক্ষে। শুধু তাই নয় মানুষের বসবাসের ঘর বাড়ি বহু তলিয়ে গেছে। বর্ষা এলেই গঙ্গা ভাঙ্গন বৃদ্ধি পায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের তরফ থেকে একাধিকবার পঞ্চায়েত দপ্তর থেকে শুরু করে জেলাস্তরে জানানো হয়েছে।কিন্তু প্রশাসনের তরফ থেকে শুধুমাত্র অস্থায়ীভাবে গঙ্গার পাড় বাঁধানো হয়। যার হলে আবার গঙ্গা ভাঙ্গন শুরু হয় বর্ষা এলেই। এবার স্থায়ীভাবে গঙ্গা বাঁধন রোধ করার জন্য এলাকার পরিদর্শনে এলে জেলাশাসক বিভু গোয়েল।
উপস্থিত ছিলেন নদীয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি রিক্তা কুন্ডু, স্থানীয় বিডিও সুমন দেবনাথ এবং এসডিও হর সিমরান সিং ।
জেলাশাসক স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে এবং ইরিগেশন দপ্তরের সঙ্গে কথা বলে গঙ্গার পাড় যাতে স্থায়ীভাবে বাঁধানো যায় দ্রুততার ব্যবস্থার আশ্বাস দেন তিনি। চৌধুরীপাড়া পরিদর্শনের পর বেলঘড়িয়া ২ নম্বর পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বিহারিয়া মঠপারা অঞ্চলের মানুষের সঙ্গে কথা বলেন প্রশাসকগণ। ইতিমধ্যেই ওই স্থানে কাজ শুরু হয়েছে গঙ্গা পাড় বাধানোর। বাঁশের খাঁচা করে তার মধ্যে পাথর দিয়ে জলের মধ্যে বসানো হয়েছে প্রাথমিকভাবে, এরপর বালির বস্তা দিয়ে বানানো হবে পার। এ বিষয়ে জেলা সভাধিপতি স্থানীয় পঞ্চায়েত গুলোকে ১০০ দিনের কাজের জন্য জব কার্ড প্রাপ্ত, এবং পরিযায়ী শ্রমিকদের অগ্রাধিকার দেবেন বলে জানান।