সোশ্যাল বার্তা : দুই দশকেরও বেশি সময়ের বেতন বঞ্চনা এবং নিজেদের সম্মান অর্জনের জন্য অরাজনৈতিক শিক্ষক সংগঠন বিজিটিএ দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ভাবে লড়াই করছে। জেলায় জেলায় প্রস্তুতি শুরু হয়েছে চূড়ান্ত লড়াইয়ের। শুধু এতেই সীমাবদ্ধ নয় বিজিটিএ র কর্মকান্ড। করোনা নামক মহামারীতে লড়াইয়ের জন্য এগিয়ে এসেছে বিজিটিএ। ইতিমধ্যেই এই শিক্ষক সংগঠন সরকারের ত্রাণ তহবিলে ৫ লক্ষ টাকার অনুদান দিয়েছে এবং ঠিক এই মুহূর্তে আমফান ঝড়ের প্রভাবে যখন রাজ্যের কিছু জেলার বহু মানুষ অসহায় সেইসব মানুষের জন্য সমব্যথী বিজিটিএ।সেই সকল দুঃস্থ মানুষের পাশে আজ ত্রাণ নিয়ে উপস্থিত এই অরাজনৈতিক শিক্ষক সংগঠন।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হুগলি জেলার পর ত্রাণকার্য সম্পন্ন করল হাওড়া জেলায়। রূপনারায়ান নদীর তীরবর্তী এলাকা আমফানএর ফলে ভীষণ ক্ষতিগ্রস্ত। আজ তাদের পাশেই BGTA।
আজ অর্থাৎ ১৪ ই জুন হাওড়া জেলার শ্যামপুর-১ ব্লকের প্রথমে আমবেড়িয়া, বারাসাত,ডিঙ্গাকোলা এবং আর একটি জায়গায় দেউলি ও শীতলপুর গ্রামের মানুষের হাতে প্রয়োজনীয় দৈনন্দিন সামগ্রী তুলে দিয়ে ত্রাণ কার্য সম্পন্ন হয়। প্রথমটি হয় শ্যামপুর মোড়ে দুপুর তিন ঘটিকায় এবং দ্বিতীয়টি হয় দেউলী হাটে বিকাল 5 ঘটিকায়। শ্যামপুর ব্লক সম্পাদক শামসুদ্দিন বাবুর তত্ত্বাবধানে, সভাপতি অনিরুদ্ধ বাবু, কোষাধ্যক্ষা মধুশ্রী মান্না, হাওড়া জেলা সহ-সভাপতি অসীমবাবু, উলুবেরিয়া ব্লক সম্পাদক স্বপন বাবুর উপস্থিতিতে এবং স্থানীয় বিজিটিএ বন্ধুদের সহযোগিতায় ৮৫ জনেরও অধিক দুঃস্থ মানুষের হাতে ত্রাণ সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়। ত্রাণ সামগ্রীর মধ্যে ছিল সর্ষের তেল ৫০০গ্রাম , মুসুর ডাল- ৫০০গ্রাম, সোয়াবিন এর প্যাকেট, একটি সাবান, লঙ্কা গুঁড়োর প্যাকেট, হলুদ গুঁড়োর প্যাকেট, আলু- ১ কিলো, পেঁয়াজ- ১কিলো,বিস্কুটের প্যাকেট ১টি।
অন্যদিকে হাওড়া জেলা সম্পাদক শ্রী ইন্দ্রজিৎ ঘোষ মহাশয় জানান আমরা মূল দাবির পাশাপাশি মানুষের পাশে দাড়াচ্ছি সারা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে।
সংগঠন এর রাজ্য সম্পাদক সৌরেন ভট্টাচার্য এবং রাজ্য সভাপতি ধ্রুবপদ ঘোষাল জানান বিজিটিএ এক অনন্য শিক্ষক সংগঠন যা মানবিকতার পাশাপাশি গ্র্যাজুয়েট শিক্ষকদের দাবি আদায়ে দৃঢ় ভাবে সংগ্রাম করে চলেছে এবং চূড়ান্ত লড়াই এর জন্য প্রস্তুত।