মলয় দে, নদীয়া : করোনার জেরে বিশ্ব আজ টালমাটাল । অনেক মানুষ কাজ হারিয়েছেন । আবার পেটের তাগিদে পরিবারের সদস্যদের মুখে দুমুঠো অন্ন তুলে দিতে কেউ কেউ পেশা পরিবর্তন করেছেন । পাড়া বা বাড়ির ছেলেরা অনেকেই পেশার তাগিদে ভিন রাজ্যে পাড়ি দিয়েছিলেন রোজগারের আশায় । কিন্তু ফিরে এলেন পরিযায়ী শ্রমিক নাম নিয়ে । বাড়ি ফিরলেও তাদের বর্তমান ঠিকানা কোয়ারেন্টাইন সেন্টার । কিন্তু এমন অনেক পরিবারের সদস্য আছেন যিনি একমাত্র রোজগেরে । কিছুদিন ধরে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা প্রান্তিক মানুষের মধ্যে বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করছিলেন এবার সেই সব সংগঠনের অনেকেই এগিয়ে এল কোয়ারেন্টাইন এ থাকা মানুষের জন্য ।
নদীয়া শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে থার্মাল স্ক্রীনিং হোক বা লালা রস দিতে আসা সারা দিন কাটানো পরিযায়ী শ্রমিকদের পাশে “নবজাগরণের খাদ্যভাণ্ডার” পেট ভরার ব্যবস্থা। গভীর রাতে হলেও সংকল্পর “শুকনো খাবার জল” শুধুমাত্র ফোনের অপেক্ষা।
সামাজিক সংগঠন “বর্ণপরিচয়” অল্পদিনের সংগঠন হলেও জাতীয় সড়কের উপর দিয়ে আসা পরিযায়ী শ্রমিকদের বাস দাঁড় করিয়ে খাবার দেওয়া মন ছুঁয়েছে পরিযায়ী শ্রমিকদের।
“সেতু” “আলো” ‘দিশারী” “শান্তিপুর সায়েন্স ক্লাব” “আলোকবর্ষ” “সোনার তরী” মত বেশ কিছু সংগঠন কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে নিজেদের সাধ্যমত মানুষের সহযোগিতায় নিত্যসেবায় নিয়োজিত পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য।
করোনা আক্রান্ত ৯ মাসের শিশুর পিতার হাতে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থ তুলে দিয়েছিল “প্রতিবন্ধন” সংস্থা। সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত উদ্যোগে ১৪ নং ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর সুব্রত ঘোষ স্কুলে থাকা পরিযায়ী শ্রমিকদের খাবার ও পানীয় জলের কলের ব্যবস্থা করেন। বিশ্বজিৎ রায় ব্যক্তিগতভাবে একটি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে সাধ্যমত খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন।
গোপালপুর মসজিদ কমিটি ধর্মীয় আবেগের ঊর্ধ্বে উঠে পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য খুলে দিয়েছেন মসজিদের একাংশ। এই সংবাদ পরিবেশনের পর নিজেদের ঘরের ছেলেদের জন্য মানবিকতার কমিউনিটি গড়তে নিশ্চয়ই অনেক সহৃদয় ব্যক্তি ,সংস্থা এগিয়ে আসবে এটাই প্রত্যাশা ।