মলয় দে নদীয়া:-লকডাউনে কর্মহীন প্রত্যেক পরিবার। তার উপর আদিবাসী গ্রাম। এ সংকটময় মুহূর্তে বাড়ির শিশুদের আলাদাভাবে মনোরঞ্জন করার মতো পরিস্থিতি নেই কোন পরিবারেই। কিন্তু ওরা তো শিশু! লকডাউন, সাসপেক্টেড, স্যানিটেশন কনটাইন্টমেন্ট জোন এত ভারী ভারী শব্দগুলো এর আগে শোনো নি কখনো। উপরন্তু বাড়িতে, টিভিতে সবসময় আতঙ্কের পরিবেশ । স্বভাবতই শিশুমনে বন্ধুদের সাথে মাঠে খেলা না করতে পারার চাপা অভিমান মানসিক বিকাশে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
এ কথাগুলো অভিভাবক জানুক আর না জানুক! যারা সারাবছর শিক্ষা দেন, তারা কিন্তু অভিভাবকের থেকে অনেক বেশি সময় কাটাতেন বিগত দিনে। তাই শিক্ষকরাই বুঝেছেন তাদের ব্যথা, সুপ্ত বাসনার কথা।
আজ সকালে পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নদিয়া জেলা সভাপতি জয়ন্ত সাহা ক্ষুদে বন্ধুদের জন্য উপহার হিসেবে লুডো, লাফদড়ি, ছড়ার বই, ছবি আঁকার সরঞ্জাম, ক্রিকেট ব্যাট বল, দাবা, রংবেরঙের ছাতা, ফোল্ডিং হাতপাখা আরো কত কি! এইসব নিয়ে হাজির হন নদীয়ার শান্তিপুর ব্লকের নৃসিংহপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
উপস্থিত ছিলেন হরিপুর অঞ্চলের প্রধান শোভা সরকার, শিক্ষক সমিতির জেলা সম্পাদক শান্টুভদ্র , শান্তিপুর চক্রের সদস্য সুজিত বর্মন, শিলাদিত্য বিশ্বাস সহ বিশিষ্টজনেরা। ওই অঞ্চলে প্রান্ত্রিকদের নিয়মিত দুপুরে আহারের ব্যবস্থা করে থাকেন সোনার তরী নামে একটি সংস্থা, তাদের এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের সংবর্ধিত করা হয়। কমিউনিটি কিচেন এর মাধ্যমে আজ প্রায় ২০০ বাচ্চার দুপুরে মধ্যাহ্নভোজের ব্যবস্থা করা হয় শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে।