লকডাউনে রায়গঞ্জে এখন গুরুত্ব পেয়েছে ‘ইটালিয়ান সেলুন’

Social

রায়গঞ্জঃ এক সময়ে অনেকেই হাসাহাসি করতেন এবার লকডাউনে কদর বেড়েছে ওঁদের। বেড়েছে কর্মব্যস্ততাও। লকডাউন পরিস্থিতিতে বন্ধ নামিদামি পার্লার। চুল, দাড়ি কাটাতে রাস্তার ধারের ক্ষৌরকাররাই এখন ভরসা রায়গঞ্জে। অনেকেই বলছেন ভরসার ‘ইটালিয়ান’। শীততাপ নিয়ন্ত্রিত পার্লার ছেড়ে এইসব সস্তার ক্ষৌরকারদের কাছে হাজির হচ্ছেন অনেকেই। এমনকি ঘনঘন বাজছে ফোন। ডাক পড়ছে বিভিন্ন বাড়িতেও।

লকডাউনে যখন কর্মহীন হয়ে পড়েছেন হাজারো মানুষ, তখন পসার চাঙ্গা রায়গঞ্জের রাস্তার ধারের ক্ষৌরকারদের। রায়গঞ্জ শহরের ষ্টেশন এলাকায় রাস্তার ধারে বেশ কয়েকবছর ধরেই কাজ করতে দেখা যায় হাতেগোনা কয়েকজন ক্ষৌরকারকে। চলতি ভাষায় এগুলির নাম ‘ইটালিয়ান সেলুন’। একসময় ইটের ওপর বসে কাজ করার ব্যবস্থা ছিল। এখন সিমেন্ট দিয়ে বাঁধানো হয়েছে বসার জায়গা। বছরের অন্যান্য সময় পথচলতি গরিব লোকজন এখানে চুল, দাড়ি কাটতেন। কিন্তু, এখন লকডাউন পরিস্থিতিতে অনেকেরই মুশকিল আসান করছেন এইসব সস্তার ক্ষৌরকাররা।
পার্লার বন্ধ থাকায় যাঁরা নিজেরা দাড়ি কাটতে পারছেন না অথবা যাঁদের চুলের ছাট দেওয়া এখনই জরুরী তাঁরা অনেকেই এখন এইসব ক্ষৌরকারদের কাছেই আসছেন। ফলে সকাল থেকে এঁদের কারবার গতি পাচ্ছে। আবার এমনও অনেকে রয়েছেন যাঁরা পার্লার ছেড়ে রাস্তার ধারে এসে বসতে পারছেন না, তাঁদের অনেকেই এদের বাড়িতে ডেকে নিয়ে যাচ্ছেন। সবমিলিয়ে সারা বছর অবহেলিত এইসব সাধারন ক্ষৌরকারদের বাজার তুঙ্গে রায়গঞ্জে। চুল,দাড়ি কাটাতে আসা অনেকেই বলছেন, লকডাউন দীর্ঘ হয়ে যাওয়ায় এখন এইসব কাজও অত্যন্ত জরুরী হযে পড়ছে। আবার শহরের প্রায় সব পার্লার বন্ধ। ফলে এদের কাছে আসা ছাড়া অন্য উপায় মিলছে না। অনেকেই বলছেন, সস্তাতে হলেও বেশ ভালোই কাজ করছেন ওঁনারা ।

Leave a Reply