অভিযোগ মেয়ে মাকে খুন করেছে -সামাজিক অবক্ষয় নয় কি?

Social

শনিবার সকালে রায়গঞ্জের গোয়ালপাড়ার পাঁচপুকুর এলাকার রাস্তা থেকে ওই মহিলার ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনাটি জানাজানি হতেই স্থানীয়রা ক্ষোভে ফুঁসে ওঠেন। দুই মেয়েকে বেধড়ক মারধর করেন তাঁরা। তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছায় রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। স্থানীয়দের হাত থেকে অভিযুক্তদের উদ্ধার করে। পুলিশ দু’জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। নিহত বছর ৫৩র কল্পনা দে সরকার(রায়) রায়গঞ্জের দেবীনগর দেবপুরী এলাকার বাসিন্দা। পূর্ব কলেজপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষিকা। বছর ১৩ আগে স্বামী রঞ্জিত রায় মারা যান। দুই মেয়েকে নিয়েই থাকতেন তিনি। এদিন সকালে বাড়ি থেকে ১০০ মিটার দূরত্বে কল্পনার ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করা হয়।

         বাসিন্দাদের দাবি, ওই মহিলার বড় মেয়ে রায়গঞ্জের একটি কলেজের স্নাতকের প্রথম বর্ষের ছাত্রী। বছর দেড়েক আগে স্থানীয় একটি ছেলের সঙ্গে ওই তরুণীর প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। বিয়ে করার জন্য চাপ তৈরি করে মনার প্রেমিক। তবে মেয়ের প্রেমিককে পছন্দ না হওয়ায় বিয়েতে বাধা দেন ওই প্রধান শিক্ষিকা। তাতেই মায়ের সঙ্গে মনোমালিন্য তৈরি হয় মেয়ের। অভিযোগ, মহিলার বড় মেয়ের বন্ধুবান্ধবরা প্রায়শই বাড়িতে আসা-যাওয়া করত। তাতেও আপত্তি ছিল মায়ের। অভিযোগ, মনোমালিন্যের জেরে শুক্রবার রাতে প্রেমিকের পরামর্শে শিল নোড়া দিয়ে মাথা থেঁতলে খুন করে মাকে। এরপর বস্তার মধ্যে দেহ ঢুকিয়ে বাইকে চড়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় বড় মেয়ের প্রেমিক। বস্তা থেকে বের করে দেহ পুকুরে ফেলে দেয়। শনিবার সকালে প্রধান শিক্ষিকার দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এই ঘটনার সঙ্গে মহিলার ছোট মেয়ের আদৌ কোনও যোগসূত্র রয়েছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ২৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অসীম অধিকারী এদিন সকালে নিহত ওই মহিলার বাড়িতে যান। পুলিশ সুপার সুমিত কুমার বলেন, “দেহ উদ্ধার হয়েছে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দু’জনকে জেরা করা হচ্ছে। খুব তাড়াতাড়ি গ্রেপ্তার করা হবে তাদের।”