কেউ বলেন দেবদূত,কারো কাছে আল্লাহ,কেউ বলেন ঈশ্বর তিনি নওদার ওসি মৃণাল সিনহা

Social

নিউজ সোশ্যাল বার্তা : ছাত্র জীবন থেকেই পরোপকারী ডাকাবুকো ছিলেন তিনি। বাড়ি নদীয়া জেলার হাঁসখালি থানার বগুলার পাশে বহিরগাছি গ্রামে ।আশেপাশের দশ গাঁয়ের লোক তাঁকে ‘কালু’ বলেই চেনে । বর্তমানে তিনি মুর্শিদাবাদ জেলার নওদা থানার ওসি নাম মৃণাল সিনহা ।

ছোটবেলা থেকেই ইচ্ছা ছিল দেশ সেবা করার তাই যোগদান করেন পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর পদে । পেশার সঙ্গে তাঁর নেশা জনসেবা । তাই মুর্শিদাবাদের আজ অবধি তিনি যে যে থানায় কর্মরত থেকেছেন মানুষের সেবা দেওয়ার জন্য সাজিয়ে তুলেছেন সেই থানার পরিবেশ ।বেলডাঙা,ভারতপুর ,ভগবানগোলা,নওদা সহ অনেক থানা এলাকার সাধারন মানুষ , ব্যবসায়ী তথা ক্লাবের সদস্যরা আজও ফোন করে খোঁজ নেন স্যার কেমন আছেন ? পেশার তাগিদে কর্মে লিপ্ত থাকাই সবার দায়িত্ব আর অনেকে সেটাই করেন কিন্তু নিজ কর্মের গুনে তিনি সকল ধর্ম এক করে দিয়েছেন ।

শুধুমাত্র করোনার সময়ই নয় এভাবেই সারা বছর কাজ করে যাচ্ছেন তিনি সাধারণ মানুষের জন্য । কখনও নাবালিকার বিয়ে বন্ধ করে তার পড়াশোনার দায়িত্ব তুলে নিয়েছেন। এখনও মাসে মাসে ২ হাজার টাকা করে দেন পড়ুয়াকে। কখনো ক্যান্সারে আক্রান্ত শিশুর জন্য এককালীন অর্থ তুলে দেওয়া।কখনো হয়তো কারো বাড়ি আগুনে পুড়ে ছারখার হয়ে গেছে এগিয়ে এসেছেন তিনি সাময়িক দায়িত্ব নিয়েছেন তার পরিবারের । কখনও বা সাধারণ মানুষ কেবল লাইনের পরিষেবা পেতে চাইলেও এক কালীন অর্থ দিতে না পারায় তার দ্বারস্থ হয় মিলেছে সমাধান। আবার বিভিন্ন ক্লাবের তিনিতো মধ্যমণি । যুব সমাজকে সামাজিক অবক্ষয় থেকে ক্রীড়ার দিকে ঝোকানোর জন্য সমস্ত রকম সহযোগিতা করে চলেছেন তিনি ।

বতর্মানে করোনা থেকে পরিত্রাণের জন্য চলছে লক ডাউন । দিনরাত এক করে কাজ করে যাওয়া এই মানুষটার একমাত্র লক্ষ্য তাঁর এলাকায় মানুষ যেন ভালো থাকে । এলাকার অধিকাংশ মানুষ শ্রমজীবী । অনেক পরিযায়ী শ্রমিক রাজ্যের বাইরে রয়েছেন তাই নিজের ফোন নম্বর দিয়ে সবাইকে তার সঙ্গে যোগাযোগ করার কথা বলেন । অনেককেই ঘরে ফেরাতে পেরেছেন আর  যাদের ফেরাতে পারেননি তাদের জন্য প্রশাসনিক সহায়তায় থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। কখনও বা নাটক, যাত্রায় অভিনয়ের মাধ্যমে অনায়াসেই মিশে যান সাধারণ মানুষের সঙ্গে ।

করোনা নিয়ে থানার পক্ষ থেকে চলছে নজরদারি ও সচেতনতা বৃদ্ধির কাজ পাশাপাশি দল, ধর্ম, বর্ণ না দেখে দুঃস্থ, আশ্রয়হীন, ভবঘুরেদের ত্রাণ বিতরণ থেকে,তাদের চিকিৎসা এবং ঔষধ পত্রের সমস্ত দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন তিনি। কোন ছোট বাচ্চার দুধের প্রয়োজন,বৃদ্ধ-বৃদ্ধা বাবা- মায়ের খাবারের প্রয়োজন খবর পেলেই ছুটে যাচ্ছেন রাত-বিরাতে সেখানে ।

এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন ” এটা তেমন কিছু নয় । আমি আমার  দায়িত্ব পালন করছি মাত্র । পুলিশ সমাজের বন্ধু । সবার কাছে আহ্বান আপনারা বাড়িতে থাকুন,সুস্থ থাকুন “।

নিউজ সোশ্যাল বার্তার পক্ষ থেকে তাকে শ্রদ্ধার্ঘ্য ।

Leave a Reply