মলয় দে নদীয়া;-মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পর আজ প্রথম দিনে যথেষ্ট লম্বা লাইন চোখে পরলো প্রতিটা রেশনের দোকানেই। সকাল থেকে একভাবে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে মেজাজ হারাচ্ছেন অনেক রেশন ডিলারই। কিন্তু নদীয়ার শান্তিপুরে পটেশ্বরী লেন তিলিপাড়ার অরিন্দম পালের ফেয়ার প্রাইস শপে সম্পূর্ণ ভিন্ন চেহারা।
নির্ধারিত চক দিয়ে মার্কিং করা স্থানে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখেই লাইন। বৃদ্ধ এবং শারীরিক প্রতিবন্ধকতার যুক্ত লাইনে দাঁড়ালেই সাথে সাথে পাশে রাখা চেয়ারে বিশ্রাম নেওয়ার পরামর্শ এমনকি হাতের কাজ ফেলে, সোজা নিজে হাতে এসে তুলে দিচ্ছেন ছোট একটি বস্তা। যার মধ্যে সরকারি নির্ধারিত নয়, সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত উদ্যোগে তৈরি করে রাখা ৫ কেজি চাল, ৫০০ গ্রাম ডাল, ৩ কেজি আলু, ১০০ গ্রামের একটি সয়াবিনের প্যাকেট, সরষের তেল আড়াইশো গ্রাম,একটি লবনের প্যাকেট, হলুদের প্যাকেট, একটি সাবান ।গতকালই তিনি সিদ্ধান্ত নেন এ ধরনের চিন্তা ভাবনার তাই রাতেই ব্যবস্থা করে রেখেছিলেন খাদ্য সামগ্রীর এরকম ২২ টি বস্তা।
অরিন্দম বাবু জানান “সরকার নির্ধারিত খাদ্য সামগ্রী প্রত্যেকের অধিকার। তা থেকে অন্যকে দেওয়া সম্ভব হয়না তাই সম্পূর্ণ নিজের উদ্যোগে আমার সাধ্যমত সহযোগিতা করার চেষ্টা করেছি মাত্র।”
এ ধরনের উপভোক্তা এই রেশন শপের অন্তর্ভুক্ত এলাকার বাইরে থেকেও অনেকেই এসেছেন।
কারো বা রেশন কার্ড, প্রতিবন্ধী শংসাপত্র কোনটাই নেই, তবু মিলল রেশন মানবিক ডিলারের কাছ থেকে।