মলয় দে নদীয়া:-করনা আতঙ্কে সকলে গৃহবন্দি হলেও ,নাম গোত্র পদবি পরিচয়-হীন কিছু মানুষ নিত্য নৈমিত্তিক সারাবছর রাত কাটায় পথের প্রান্তে রেলওয়ে স্টেশন, বাসস্ট্যান্ডের মতো জায়গায়। যোগাযোগের মাধ্যম পরিবহনের বিভিন্ন ব্যবস্থা বন্ধ হওয়ায় জেলার প্রান্তিক শহরগুলিতে এই সংখ্যা চোখে পড়ার মতো।
কর্মহীন গৃহ বন্দীদের আবেগ ভালোবাসা থাকলেও বর্তমান পরিস্থিতিতে তা মলিন হতে বসেছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে রাজ্যের সমস্ত থানার মতো জেলার সব থানায় এ ধরনের দায়ীর সামলাচ্ছেন,অবুঝ অসচেতন জনসাধারণকে লাঠি উঁচিয়ে গৃহবন্দী করা, সচেতনতার বার্তার মাইক প্রচার সহ নিয়মিত অপরাধ দমনের সাথে সাথেই।
আজ শান্তিপুর থানার ওসি সুমন দাস রেলওয়ে স্টেশনে এ ধরনের ১২ জন কে , হাসপাতালের ৬ জন, বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ডে ১৪ জনকে সকাল দুপুর,রাতে তিনবারই খাওয়ান নিজে হাতে। কখনো পথে প্রান্তে কখনওবা রাজকীয় ভাবে থানায় চেয়ার টেবিলের আয়োজনে। খুব কমদিন আগে নিযুক্ত হয়েছেন শান্তিপুর থানায়, তবুও এই নির্দেশ আসার বেশ কিছুদিন আগে থেকেই স্থানীয় একটি সংস্থা নবজাগরণের সারা বছর একাজের সাথে নিজেকে যুক্ত করেছিলেন মানবিক কারণেই।
অভ্যাসগত কারণে প্রাথমিকভাবে পুলিশ কে আসতে দেখে ভবঘুরেরা ভয় পেলেও, আহারের পরবর্তী সময়ে কুশল বিনিময় এর মাঝে চোখের কোনায় জল নিয়ে একরাশ আশীর্বাদের স্বাদ পেলেন এই প্রথম।জানতে পারলেন তাদের জন্ম বৃত্তান্ত, কর্ম পরিচয় এবং বর্তমান পরিস্থিতির কারণ।