বেহালার ভেলায় বেহুলা

Social

প্রীতম ভট্টাচার্য : বই এর পাতায় আজ অন্নদামঙ্গল নেই, পরিবেশ এখানে বিষহরি, বেহুলা লখিন্দর ট্রেনে,গন্তব্য ১৪ নং নতুন সংঘ। কখনো ভেবেছেন একটা গোটা পাড়ার বাসিন্দারা এই মাঘে রঙীন বসন্তে মন ভাসিয়ে শিল্পবোধ তৈরী করেছে এই সমাজের কাছে।

এখানে সৃষ্টির সৃজন বৃক্ষ সনাতন দিন্দা, যার শিল্পসৃষ্টি সমগ্র বিশ্বকে এক নতুন আঙ্গিকে তাদের মণিকোঠায় স্থান দিয়েছে। সনাতন দিন্দার সাথে বাংলার আরো বিশিষ্ট শিল্পীদের কায়িক পরিশ্রমে এই শিল্পবিল্পব পরিবেশনন্দন হয়ে উঠেছে কলকাতার হৃদমাঝারে।

একসময় নদী ছিলো বেহালায়। আর সেই নদীতেই ভেসেছিলো বেহুলার ভেলা। একটুকরো গল্পদিয়ে মোড়া নতুন সংঘের অলিগলি। শিল্পী অন্তরের ভাষা গ্রাস করেছে একটি পাড়াকে। পাড়ার বাসিন্দারা এগিয়ে এসেছেন তাদের পাড়াকে একটুকরো শিল্পনগরীতে ছেপে দিতে। এ যেনো বসন্তে দুগ্গাপুজো।

নামে কি এসে যায়, কলকাতায় শিল্পীদের আর্টফেষ্ট।নামকরণে ” বেহুলা ” চাঁদ বনিকের গল্প, বই এর পাতায় সাজানো মনসামঙ্গল। আধুনিক শিল্প ও শিল্পীকর্মদক্ষতায় সাজানো ছবি, এখানে ক্যনভাস চায়ের দোকান, রাস্তার আলপনা,ফ্ল্যাটবাড়ির দেওয়াল অঙ্কন, মাংসের দোকান, চাঁদসির সাইকেল,চাঁদবনিকের নৌকা, পাড়ার দেওয়াল লিখন, ক্লাবের ক্যারাম বোর্ড, মানুষের রঙমাখা মুখ। এ যেন স্বর্গের শিল্প নগরী। ৭ থেকে ৯ ই ফেব্রুয়ারী বেহালার নতুন সংঘ শিল্পী সনাতন দিন্দা ও আরও কিছু শিল্পীসমন্বয়ে করে ফেললো শিল্পবিল্পব।

শহর থেকে বিদেশ সবজায়গাথেকে মানুষের ভীড় ছিলো চোখে পড়ার মতো।শিল্পী সনাতন দিন্দা বলেন আগামীদিনে আরো নতুন কিছু দেখাবো মানুষকে।

Leave a Reply